Bengal STF

খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃতকে নিজেদের হাতে পেল বেঙ্গল এসটিএফ, অসম পুলিশও হেফাজতে চায় তারিকুলকে

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে যে জঙ্গি-পাকড়াও অভিযান শুরু হয়েছে, সেই সূত্র ধরে বার বার উঠেছে বর্ধমানের খাগড়াগড় প্রসঙ্গ। ধৃতদের তালিকায় ছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি-র বেশ কয়েক জন জঙ্গিও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৯
Berhampore court grant 7 days police custody of Tariqul Ishlam

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ধৃত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমনকে নিজেদের হেফাজতে পেল বেঙ্গল এসটিএফ। সোমবার বহরমপুর সিজেএম কোর্টে হেফাজতে চেয়ে বেঙ্গল এবং অসম এসটিএফ— দু’তরফই আবেদন করে। বিচারক বেঙ্গল এসটিএফের আবেদন মঞ্জুর করেন। সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ১৩ জানুয়ারি আবার তারিকুলকে আদালতে হাজির করানো হবে। তখন অসম এসটিএফের আবেদন বিবেচনা করা হবে বলে জানান বিচারক।

Advertisement

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে যে জঙ্গি-পাকড়াও অভিযান শুরু হয়েছে, সেই সূত্র ধরে বার বার উঠেছে বর্ধমানের খাগড়াগড় প্রসঙ্গ। ধৃতদের তালিকায় ছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি-র বেশ কয়েক জন জঙ্গিও। সেই ধৃতদের জেরা করেই তারিকুলের বিষয় জানতে পারে অসম এসটিএফ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িতেরা আরও কোনও বড় নাশকতার ছক করছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে জেলে বসেই নাকি ছক কষছে জঙ্গিরা। সেই সূত্র ধরেই সোমবার সকালে বহরমপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এসে তারিকুলকে জেরা করেন অসম এসটিএফের আধিকারিকেরা। জেরা শেষে আদালতে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন।

এই ঘটনায় জেরা করার জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল বেঙ্গল এসটিএফ-ও। সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বলেন, ‘‘সোমবার আদালতে বেঙ্গল এসটিএফ তারিকুলকে সাত দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল। বিচারক সমস্ত কিছু বিবেচনা করে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।’’ নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত, কী ছক কষা হয়েছিল— তা জানার জন্যই হেফাজতে নিয়েছে বেঙ্গল এসটিএফ।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে তারিকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায় ধরা পড়েন তিনি। তারিকুল বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। সম্প্রতি হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনুমান, ধৃতেরা এবিটি-র সদস্য। আব্বাসের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে সম্প্রতি আব্বাস এলাকায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বেশ কয়েক বছর আগে পকসো আইনে গ্রেফতার হয়ে বহরমপুরে জেলবন্দি ছিলেন আব্বাস। সেই সময় তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় তারিকুলের। অভিযোগ, জেলবন্দি থাকার সময়েই তারিকুল, আব্বাসের মাধ্যমে হরিহরপাড়া-নওদা এবং মুর্শিদাবাদের বাকি অংশে জঙ্গি সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনা করেন। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের ‘চিকেন্স নেক’ হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল এবিটির সদস্যেরা। কিন্তু তার আগেই অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে যায় একের পর এক এবিটি জঙ্গি। তার পরই তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারে তৎপর হয় অসম এসটিএফ। একই মামলায় তদন্ত করছে বেঙ্গল এসটিএফ-ও।

Advertisement
আরও পড়ুন