TMCP

উপাচার্যের গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ টিএমসিপির! ১৮ দিন ধরে আন্দোলন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

গত কয়েক দিন ধরে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা দিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে টিএমসিপি। তাদের অভিযোগ, ছাত্র ভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৭
Kazi Nazrul University VC

উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। —নিজস্ব চিত্র।

উত্তেজনা প্রশমনের নাম নেই আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি। দাবি, পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্যকে।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা দিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের অভিযোগ, ছাত্রভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আইনি খরচ বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ওই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ফেরত দিতে হবে। টিএমসিপি নেতৃত্বের দাবি, কখন, কোথায়, কী কারণে এই টাকা খরচ করা হয়েছে— তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে জানাতে হবে। বিক্ষোভ-অবস্থান শুরুর পর গত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন নিয়ামক চন্দন কোনার। কিন্তু পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট আটকে বিক্ষোভ দেখানোয় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ঢুকতে পারেননি। সোমবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে টিএমসিপি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়। উপাচার্যের অফিসে আলো-পাখা বন্ধ করিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য বেরনোর সময় তাঁর গাড়িতেও ধাক্কা মারতে মারতে ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ তোলা হয়। এমনকি, তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান টিএমসিপি নেতৃত্ব। ওই গন্ডগোলের মধ্যে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

সোমবার টিএমসিপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৫০-৭৫ লক্ষ টাকা আইনি খাতে খরচ করা হয়েছে। অবিলম্বে সেই টাকা ফেরতের দাবি জানান তাঁরা। বস্তুত, এই দাবিতে গত ১৮ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিসের মন্তব্য, ‘‘বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজ করতে পারছি না। আমাকে জোর করে বার করে দেওয়া হয়েছে।’’ যদিও উপাচার্যকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।

আরও পড়ুন
Advertisement