Anubrata Mondal

‘যে কোনও শর্ত মানতে রাজি, জামিন দিন’, অনুব্রতের আর্জি শুনেও শুনল না বিশেষ আদালত

গরু পাচার মামলায় গত বছর অগস্টে গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পরে তাঁকে ওই মামলায় নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি তৃণমূল নেতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৫:৪৮
অনুব্রত মণ্ডল

অনুব্রত মণ্ডল —ফাইল চিত্র।

আবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সেই প্রভাবশালী তত্ত্বেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জামিন খারিজ হয়েছে বলে দাবি করেন অনুব্রতের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ।

Advertisement

শুক্রবার অনুব্রতের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সেখানে অনুব্রতের আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেল ৩২৩ দিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এ বার তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী জয় কিসাণ জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি সেই ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’-এর কথা বলেন। তৃণমূল নেতার আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘আমার মক্কেল ২০২২ সালের ১১ অগস্ট থেকে জেলবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না।’’ তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ‘‘উনি ভীষণই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই সময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’’ এর পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘২৮৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কত সময় লাগবে?’’ প্রত্যুত্তরে সুশান্ত জানান, নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার জন্য কয়েক জন সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন। আর কত দিন তদন্ত চলবে, আদালতের এই প্রশ্নের জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত চার্জশিট দেওয়া হবে।’’ দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী কেষ্টর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই।

উল্লেখ্য, গত বছরের অগস্টে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত। একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। পরে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইডি। এখন তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। পাশাপাশি তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি।

আরও পড়ুন
Advertisement