Bardhaman

ফলের দোকানে আম-কলা খেয়ে মুদিখানা থেকে লুট বিড়ি-সিগারেট! বর্ধমানে ‘আজব চোরের’ উপদ্রব

দুটো দোকানের চাল খোলা দেখে হইহই করে জড়ো হন স্থানীয়েরা। কিন্তু, এমন ‘অদ্ভুত চুরি’ দেখে বিস্মিত সকলেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক বার-দু’বার নয়, বার বার এমন ছোটখাটো চুরি হচ্ছে এলাকায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ১৮:২৭
theft in shop

ফলের দোকানে কয়েকটা কলা রেখে গিয়েছে চোর। —নিজস্ব চিত্র।

দোকানের চাল ভেঙে ঢুকেছিল চোরের দল। তবে বেশি কিছু নয়, নিয়েছে কয়েকটা কলা। তার পর কয়েকটা আম, তরমুজ খাওয়ার পর খানিক খেজুরও খেয়েছে তারা। ওইটুকুই। ফলের দোকানের পর হানা দিয়েছে পাশের মুদির দোকানে। সেখানে চুরি গেল সিগারেট এবং বিড়ির প্যাকেট। আয়েশ করে সুখটান দিয়ে সেখানেই সিগারেট-বিড়ির অবশিষ্ট অংশ ফেলে দিয়ে পালিয়ে কয়েক প্যাকেট বগলদাবা করে নিয়ে গেল চোরেরা। সঙ্গে কিছু নগদ টাকাও চুরি করে নিয়ে গেল তারা।

Advertisement

সকাল হতেই এলাকায় শোরগোল। দুটো দোকানের চাল খোলা দেখে হইহই করে জড়ো হলেন স্থানীয়েরা। কিন্তু, এমন ‘অদ্ভুত চুরি’ দেখে বিস্মিত প্রায় সকলেই। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক বার-দু’বার নয়, বার বার এমন ছোটখাটো চুরি হচ্ছে এলাকায়। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বড়াচৌমাথার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে একটি ফলের দোকানের অ্যাজবেস্টস চালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে চোরেরা। দোকানে রাখা সব রকম ফলই পরখ করে দেখেছে তারা। আপেল, আম, তরমুজ ইত্যাদি দিয়ে ফলাহার সেরে পাশের মুদির দোকান থেকে সিগারেট এবং বিড়ির প্যাকেট বগলদাবা করে চম্পট দিল চোরেরা ।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বর্ধমান-বোলপুর এনএইচ-২-এর পাশে বড়াচৌমাথায় বেশ কয়েক মাস ধরে এমন চুরির ঘটনা। কখনও মিষ্টির দোকান, কখনও মুদিখানায় চুরি হচ্ছে। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।

শনিবার সকালে দোকান খুলে চক্ষু চড়কগাছে ফল ব্যবসায়ী বিপ্লব ঘোষের। দেখেন, দোকানের চাল ভাঙা। জিনিসপত্র সব লন্ডভন্ড। কিছু টাকা ছিল, সেটাও নেই। পাশের মুদিখানা থেকে ক্যাশ বাক্সও ফাঁকা করেছে চোরের দল। ফল ব্যবসায়ী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ‘‘দোকানটা করলাম ১৫ দিন হল। এর মধ্যেই চুরি! এলাকায় চুরি বেড়েছে খুব। চোর তরমুজ, খেজুর, আপেল— সবই খেয়েছে। আর কিছু টাকা ছিল। তা-ও নিয়ে গিয়েছে।’’ মুদিখানা দোকানের মালিক চিরঞ্জিৎ ঘোষ একেবারে হতাশ। তিনি বলেন, ‘‘আমার দোকানে এই নিয়ে পাঁচ বার চুরি হল। এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ারেরা পাহারা দেন। কিন্তু যে দিন রাতে চুরি হয়, সে দিনই তাঁরা থাকেন না!’’ এ নিয়ে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন
Advertisement