Train

চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক্সপ্রেসের নীচে প্রৌঢ়! বর্ধমানে রেলপুলিশের তৎপরতায় বাঁচল প্রাণ

ট্রেনের নীচে পড়ে যাওয়ার ফলে সামান্য চোট পান ওই প্রৌঢ় যাত্রী। তাঁকে স্টেশনে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০০
Rail Police saved an old man life in Bardhaman Station

(বাঁ দিক থেকে) যোগেশ কুমার, শৈলেন্দ্র চৌধুরী এবং নিভা কুমারী। —নিজস্ব চিত্র।

চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে প্রথমে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান এক ব্যক্তি। কিন্তু টাল সামলাতে না পেরে গলে যেতে থাকেন ট্রেনের তলায়। দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে কোনওক্রমে টেনে বার করে আনেন রেল পুলিশের (আরপিএফ) কর্মীরা।

Advertisement

সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ বর্ধমান স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে ডাউন গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস বেরিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পর প্ল্যাটফর্মে নামতে যান শৈলেন্দ্র চৌধুরী নামে এক প্রৌঢ়। কিন্তু ট্রেনের গতির সঙ্গে তাল রাখতে পারেনি তিনি। প্রথমে প্ল্যাটফর্মে নামলেও পরে পা হড়কে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে পড়ে যান। সেই অবস্থা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন নিভা কুমারী এবং যোগেশ কুমার নামে রেল পুলিশের দুই কর্মী।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, কী ভাবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলযাত্রীকে উদ্ধার করছেন দুই আরপিএফ কর্মী। জানা গিয়েছে, শৈলেন্দ্রের বাড়ি বিহারের মধুবনী জেলার রঘুপুর-ইটাহার গ্রামে। মধুবনী থেকে ব্যান্ডেল আসার টিকিট কেটেছিলেন তিনি। তবে বর্ধমান স্টেশনে নামতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে।

ট্রেনের নীচে পড়ে যাওয়ার ফলে সামান্য চোট পান শৈলেন্দ্র। তাঁকে স্টেশনে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। তবে চোট গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয় শৈলেন্দ্রকে। চলন্ত ট্রেন থেকে কেন তিনি নামতে গিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন
Advertisement