Kalna College

ভেঙে পড়ছে কলেজের শিক্ষকদের আবাসন

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় সাত দশক আগে আবাসনটি তৈরি হয়। দু’টি ভাগ মিলিয়ে সেখানে ৮টি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৮
বেহাল শিক্ষক-আবাসন।

বেহাল শিক্ষক-আবাসন। নিজস্ব চিত্র।

প্রায় ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে কালনা কলেজের শিক্ষকদের আবাসন। কোথাও খসে পড়েছে চাঙড়, কোথাও বড় বড় ফাটল। অব্যবহৃত ঘরে শুরু হয়েছে সমাজ বিরোধীদের যাতায়াত, অভিযোগ এলাকাবাসীর। কালনার আমলাপুকুর মোড় থেকে বৈদ্যপুর মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে আবাসনটি অবস্থিত। বর্তমানে মাত্র দু’টি পরিবারের বাস সেখানে। যে কোনও সময় ভবনের একাংশ ভেঙে পড়তে পারে, আতঙ্কে তাঁরাও।

Advertisement

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় সাত দশক আগে আবাসনটি তৈরি হয়। দু’টি ভাগ মিলিয়ে সেখানে ৮টি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে আবাসনটির বেশির ভাগ অংশ বর্তমানে বিপজ্জনক। আবাসনে থাকা দুই শিক্ষকের মধ্যে সমর মুর্মু বলেন, “থাকার মতো পরিস্থিতি এখানে নেই। দূরে বাড়ি বলে বাধ্য হয়ে আছি। চাঙড় মাথায় পড়ে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা হতে পারে।”

ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর আগে এই আবাসনের কাছে অধ্যক্ষের আবাসনও তৈরি হয়। ২০০৮ সালের পরে সেখানে আর কেউ থাকেননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই আবাসনেরই জানালা ভেঙে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেছে সমাজ বিরোধীরা। শিক্ষক আবাসনের সামনে একাংশ ইতিমধ্যে জবর দখল হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। কয়েক বছর আগে সেখানে যুব কম্পিউটার কেন্দ্র খোলার জন্য অনুমতি দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সেখানে প্রায় ১০০ পড়ুয়া আছে। এই কেন্দ্রের অবস্থাও খারাপ।

কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তাপসকুমার কার্ফা আবাসনের জরাজীর্ণ দশার কথা স্বীকার করে জানান, অধ্যক্ষের আবাসন বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষকদের আবাসনও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুব কম্পিউটার কেন্দ্র পরিচালকদেরও মৌখিক ভাবে ঘর ছাড়তে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “ তবে শিক্ষকদের নতুন আবাসন তৈরির জন্য সরকারি অনুদান মেলেনি। অনুদান পেলে পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন তৈরি করা হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন