প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক মহিলার আপত্তির ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হলে, বিচারক তিন দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দশেক আগে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানা এলাকার এক যুবতীর। অভিযুক্তের বাড়ি খণ্ডঘোষ থানার বামুনারি গ্রামে। বিয়েতে অভিযুক্তের পরিবারের দাবিদাওয়া মতো পণও দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই ওই যুবতীর উপর অত্যাচার করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মানসিক নির্যাতন তো বটেই, শারীরিক অত্যাচারও করা হত বলে অভিযোগ।
শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিয়ের মাস কয়েক মধ্যেই বাপের বাড়ি চলে আসেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগ, তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও মানসিক অত্যাচার কমেনি। অভিযোগ, ওই যুবতীর কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তাঁর স্বামী। আরও কিছু ছবি ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকিও দেন। এই সব কিছু নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবতী। শেষ পর্যন্ত স্বামীর নামে মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই বামুনারি গ্রামের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার বর্ধমান মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। তবে বিচারক অভিযুক্তের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।