Arrest

ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেও লাভ হল না! আলু ব্যবসায়ীর ১২ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেফতার কর্মচারী

ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেও শেষ রক্ষা হল না। তিন জন তাঁর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়েছে বলে জানান কর্মচারী। কথায় নানা অসঙ্গতি পেয়ে আলু ব্যবসায়ীর ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতানোয় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ২৩:২৪

—প্রতীকী চিত্র।

ছিনতাইয়ের গল্প ফেঁদেও শেষ রক্ষা হল না। তিন জন তাঁর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়েছে বলে জানান কর্মচারী। কথায় নানা অসঙ্গতি পেয়ে আলু ব্যবসায়ীর ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতানোয় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সন্দীপ রায়। গলসির দক্ষিণপাড়ায় তাঁর বাড়ি। বুধবার সন্ধ্যায় থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। টাকা হাতানোর কথা ধৃত কবুল করেছেন বলে পুলিশের দাবি। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গলসির পূর্ব বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা তরুণ কুন্ডুর আলুর ব্যবসা রয়েছে। ভিন্‌রাজ্যেও তিনি আলু পাঠান। তাঁর কাছে সন্দীপ বেশ কিছু দিন কাজ করছেন। সোমবার সন্দীপকে তাগাদার জন্য ঝাড়খণ্ডে পাঠান তরুণ। মালিকের গাড়ি নিয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডে যান। ছয় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮৭০ টাকা তাগাদা করে তুলে নিয়ে আসেন। একটি ব্যাগে টাকা ভরে গাড়িতে তিনি গলসির উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেলে মালিক তাঁকে ফোন করেন। বেলা সাড়ে ৫টা নাগাদ সন্দীপ জানান, তিনি এখন গলসি থানার গলিগ্রাম এলাকায় রয়েছে। গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছে। সেই সময় তিন জন অজানা ব্যক্তি টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে পালান। সন্দীপ ফেরার পর মালিক তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনার সময় তাঁর কথাবার্তায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন মালিক। বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর তিনি মালিককে দিতে পারেনি। এতে মালিকের সন্দেহ হয়। টাকা সন্দীপ আত্মসাৎ করেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নামে থানা। সন্দীপকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। বেশ কিছু ক্ষণ জেরার পর তিনি ভেঙে পড়েন। টাকা হাতিয়ে গল্প ফাঁদার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে নেন তিনি। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন