ভাতার স্টেশনের পাশে ধস। নিজস্ব চিত্র।
নির্মাণ চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্রায় চল্লিশ ফুট লম্বা গার্ডওয়াল। শুক্রবার বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথে ভাতার স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পাশের অংশের মাটিও ধসে গিয়েছে। বিপজ্জনক অবস্থাতেই প্ল্যাটফর্মে যাতায়াত করছেন মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোনও পিলার ছাড়া দেওয়ালটি তৈরির কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে।
বর্ধমান-কাটোয়া লাইনে ভাতার স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতি দিন এই স্টেশন থেকে যাতায়াত করেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রেন চলাচল করে এখানে। এলাকাবাসীর দাবি, আগের গার্ডওয়ালটি তৈরির সময় বেশি পরিমাণে মাটি কাটার ফলে তা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তার উপরে ট্রেন যাতায়াতের সময় ঝাঁকুনির জেরে তার একাংশ ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয় বার ৪০ ফুট লম্বা গার্ডওয়াল তৈরির সময় কোনও পিলার দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে মাটি ধসে দেওয়াল সমেত ভেঙে পড়ে। পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে এই ঘটনা বলে দাবি তাঁদের।
ঘটনার সময় কাজ করছিলেন আট জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে দু’জন অল্পবিস্তর আঘাত পান।
দিন কয়েক আগে ভাতারের বেলেন্ডা গ্রামে রেলের আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ চলার সময় ঢালাই একদিনের মধ্যেই খসে রড বার হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীর একাংশ। অভিযোগ উঠেছিল নির্মাণকাজে খারাপ সামগ্রী ব্যবহারের। যদিও পরবর্তীতে ঠিকাদার ভাল জিনিস দিয়ে নতুন করে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কাজ চালু হয়।ফের রেলের কাজে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, প্ল্যাটফর্মে ওই সময় কোনও ট্রেন থাকলে ওঠানামা করতে গিয়ে বড় বিপদ হতে পারত।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন চত্বর আরও চওড়া করা এবং আরও দু’টি ছাউনি তৈরির জন্য মাস খানেক আগে ভাতার স্টেশনের উত্তর প্রান্তের পশ্চিম অংশে নতুন করে গার্ডওয়াল তৈরি শুরু হয়। শুক্রবার সকালে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে তার গর্ত কাটার সময় দুর্ঘটনাটি হয়। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”