Wood Mill

গাছ কেটে কারখানায় মজুত, পর পর তিন দিন হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত প্রচুর কাঠ, বিপাকে আসানসোলের ব্যবসায়ী

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাঠ কারখানায় হানা দিয়েছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। আসানসোলের জামুরিয়ার কুয়া মোড়ে ওই কাঠের কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণ কাটা কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছে বন দফতর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৩৬
Forest department sized huge amount wood from Asansol mill

বাজেয়াপ্ত করা কাঠ। — নিজস্ব চিত্র।

জঙ্গলের গাছ অবৈধ ভাবে কেটে নিজের কারখানায় বোঝাই করার অভিযোগ উঠল এক কাঠ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গত তিন দিন ধরে ওই ব্যবসায়ীর আস্তানায় হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ কাটা কাঠ বাজেয়াপ্ত করল বন দফতর।

Advertisement

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাঠ কারখানায় হানা দিয়েছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। আসানসোলের জামুরিয়ার কুয়া মোড়ে ওই কাঠের কারখানাটি রয়েছে। সেই কারখানায় হানা দিয়ে কাটা কাঠ উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। শুধু তা-ই নয়, ওই মিল থেকে কাঠ কাটার একটি অত্যাধুনিক মেশিনও পেয়েছেন তাঁরা।

গৌরান্ডি বন দফতরের বিট অফিসার সুমন্ত দাস জানান, বন দফতরের অনুমতি না নিয়ে বেআইনি ভাবে গাছ কাটা হয়েছিল। সেই কাঠ কারখানায় মজুত করা হয়েছিল। এ ছাড়াও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে যে সব গাছ কাটা হয়েছিল, সেগুলোও এই কারখানা থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।

জামুরিয়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বন দফতর অভিযান চালিয়েছিল। বন দফতরের দাবি, ওই মিলে ছোট মেশিন দিয়ে কাঠ কাটার অনুমতি ছিল। কিন্তু অনুমতির তোয়াক্কা না করেই বড় ট্রেলার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছিল সেখানে। তাই ওই মেশিনটি সিল করা হয়েছে। যদিও ওই কাঠ কারখানার মালিক রাজেশ ভান্ডারি জানান, ওই মেশিনের অনুমতিপত্র এবং কাঠ মিল চালানোর প্রয়োজনীয় নথিপত্র তাঁর কাছে রয়েছে। এমনকি যে কাঠ কেনা হয়েছে, তারও নথি রয়েছে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিএফও অনুপম খাঁ বলেন, ‘‘আমাদের আধিকারিকেরা ওই কাঠ কারখানায় গিয়েছেন। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নথিগুলো যাচাই করার পর জানা যাবে এই কাঠগোলায় কী কী ত্রুটি রয়েছে। তা বিবেচনা করার পরই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement