Asansol Municipal Corporation

ফের আসানসোল পুরনিগম থেকে উধাও টাকা! এ বার ৪০ লক্ষ, সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে মেয়রকে জানিয়েছে, এই টাকা মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের কোনও দুষ্কৃতীর কাজ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই টাকা প্রথমে তোলার জন্য একটি চেক কাটা হয়েছিল। পরে সেই চেকটি বাতিল করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ০২:৪১
আসানসোল পুরনিগম।

আসানসোল পুরনিগম। —ফাইল চিত্র।

আবার আসানসোল পুরনিগমের ৪০ লক্ষ টাকা উধাও! এর ফলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পুরনিগমের আধিকারিকদের মধ্যে। অভিযোগ, আসানসোলের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই উধাও হয়েছে ওই টাকা। আসানসোলের মেয়র বিষয়টি জানতে পেরে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেন পুরনিগমের অর্থ বিভাগকে। ইতিমধ্যেই তারা আসানসোল সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ করেছে।

Advertisement

আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, একটি তহবিল থেকে ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে মেয়রকে জানিয়েছে, এই টাকা মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের কোনও দুষ্কৃতীর কাজ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই টাকা প্রথমে তোলার জন্য একটি চেক কাটা হয়েছিল। পরে সেই চেকটি বাতিল করা হয়। বাতিল চেক আসানসোল পুরনিগমে জমা রয়েছে। তার পরেও কী ভাবে এত পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে গেল তা বুঝতে পারছেন না পুরনিগমের কোনও আধিকারিক। মেয়র জানান, আর্থিক প্রতারণা হয়েছে।

অন্য দিকে, আসানসোল পুরনিগমের কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সরোবর জানান, ২০২১ সালে আসানসোল পুরনিগমের কুলটি বরো অফিস থেকে ৮৭ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পুরনিগমের বোর্ডের সভা। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘কুলটি বরো অফিসের অর্থ বিভাগের প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা পুরনিগমে জমা দেননি ওই বিভাগের কর্মীরা। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি কুলটি থানায় জিডি হয়েছিল। কিন্তু কোনও এফআইআর হয়নি!’’

তিন বছর পার। কিন্তু এখনও সেই টাকার হদিস মেলেনি। এরই মাঝে আবার নতুন করে আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা ঘটল আসানসোল পুরনিগমে।

আরও পড়ুন
Advertisement