Coal Excavation Work

ঝাড়খণ্ডের তিন ব্লকে শুরু হয়নি কয়লা তোলা

কয়লা মন্ত্রকের কাছে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় পাঁচটি কয়লা ব্লকের আবেদন করেছিলেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৭
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

জমি অধিগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বছরখানেক আগে। কিন্তু এখনও ঝাড়খণ্ডের তিনটি ব্লক
থেকে কয়লা খননের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি ইসিএল। কাজ শুরু হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখাতে পারেন, এই আশঙ্কায় থমকে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। কবে থেকে কাজ শুরু হবে, তা নিশ্চিত নয় বলে সংস্থার একটি সূত্রের দাবি। যদিও ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। দ্রুত
কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই খনির কাজ শুরু হলে ইসিএলের বার্ষিক কয়লা উত্তোলন ১০০ মিলিয়ন টনে পৌঁছবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

কয়লা মন্ত্রকের কাছে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় পাঁচটি কয়লা ব্লকের আবেদন করেছিলেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ব্রাহ্মণী, অমরকুণ্ডা ও মুর্গাদঙ্গল— এই তিনটি কয়লা ব্লক হাতে পায় ইসিএল। তিন এলাকায় প্রচুর জনবসতি থাকায় জমি অধিগ্রহণে ইসিএল সমস্যায় পড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে হয়েছে বছরখানেক আগে। তবু কয়লা খনন এখনও শুরু হয়নি। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, সেই কাজ শুরু করতে গেলে এলাকায় বাধার মুখে পড়তে হতে পারে। অথচ, ইসিএলকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক রাখতে হলে এই তিন ব্লকে কাজ শুরু করা প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দুমকার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন ইসিএলের সিএমডি সমীরণ দত্ত ও ডিরেক্টর টেকনিক্যাল নীলাদ্রি রায়। তাঁরা প্রশাসনের কর্তাদের এই কয়লা ব্লক চালু করার প্রয়োজনীয়তা বোঝান। সেগুলি চালু করা হলে এলাকায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ ও আর্থিক উন্নয়নের দিকটি তুলে ধরেন। এই তিন এলাকার আশপাশের গ্রামগুলিতে সামাজিক দায়িত্ব পালনের অঙ্গ হিসেবে ইসিএলের তরফে যে উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে, সে সবও জানান। ইসিএলের দাবি, জেলা প্রশাসনের তরফে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান ইসিএলের সিএমডি।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা খননের আগে চিহ্নিত জমির বিভিন্ন অংশে ‘ড্রিল’ করে ভূগর্ভের কোন অংশে কেমন কয়লার সঞ্চয় রয়েছে, তার পরিমাপ করা হয়। দুমকার তিন ব্লকে এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনটি ব্লকে প্রায় দু’হাজার মিলিয়ন টন কয়লা সঞ্চিত রয়েছে। এখানে খোলামুখ খনি তৈরি করে কয়লা তোলা হবে। আধিকারিকেরা জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ইসিএলে বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সে জন্য এই তিনটি ব্লকে কাজ শুরু করা অত্যন্ত জরুরি। ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি,
এই তিনটি ব্লক থেকে কয়লা তোলা চালু হলে কোল ইন্ডিয়ার অছি সংস্থাগুলির মধ্যে ইসিএল উৎপাদনে প্রথম স্থানে উঠে আসবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement