Khandaghosh Clash

চড়ুইভাতির সময়ে ‘হামলা’, প্রশ্নে কোন্দল

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্লক সভাপতির অনুগামীরা কেশবপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে একটি গুদামে শুক্রবার রাতে চড়ুইভাতি করছিলেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

এক গোষ্ঠীর চড়ুইভাতি চলার সময়ে বোমাবাজি ও হামলার অভিযোগ উঠল অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে পুলিশ খণ্ডঘোষের কেশবপুরে এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে। বর্ধমান আদালত ধৃতদের শনিবার ২ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ও বিরোধীদের দাবি, খণ্ডঘোষে বেশ কিছু দিন ধরে তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের অনুগামীদের মধ্যে গোলমাল হচ্ছে। আগেও কেশবপুরে দুই গোষ্ঠীর অশান্তি হয়ে। যদিও তৃণমূলের ওই দুই নেতা দ্বন্দ্বের জেরে কোনও হামলার কথা মানতে চাননি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্লক সভাপতির অনুগামীরা কেশবপুরে তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে একটি গুদামে শুক্রবার রাতে চড়ুইভাতি করছিলেন। তখন কয়েক জন বাঁশ, লাঠি, বোমা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শেখ শামিম নামে এক জন পুলিশে অভিযোগ করেন, ১৩টি মোটরবাইক, চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি ১৫ জনের নামে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ মীর গিয়াসুদ্দিন, আবু তলব, আমির আলি, আখতার আলি নামে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, তেলুয়া গ্রামে মোড়ে জড়ো হয় অভিযুক্তেরা। ঘটনাস্থলে ভাঙা মোটরবাইকের টুকরো, বোমার সুতলি দড়ি দেখা গিয়েছে। এলাকায় টহল রয়েছে।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূলের বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কয়েক দিন আগে বিধায়ক গোষ্ঠীর এক জনের বাড়িতে হামলা চালায় ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। শুক্রবার রাতে পাল্টা হামলা হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতা ও লুটের ভাগ নিয়েই বারবার গোলমাল পাকছে।” বিজেপির জেলা মুখপাত্র শান্তরূপ দে-র দাবি, “তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীই এক কিলোমিটার মধ্যে চড়ুইভাতি করছিল। লুটের টাকা নিয়ে বিবাদে হামলা।”

ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক যদিও এক সুরে দাবি করেন, চড়ুইভাতির সময়ে স্থানীয় যুবকেরা নিজেদের মধ্যে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন