Cow Smuggling Case

আসানসোল থেকে দিল্লির আদালতে সরল গরু পাচার মামলা, ইডির আবেদনে সাড়া, চাপ বাড়ল কেষ্টর

আগেই ইডির তরফে এই মামলা দিল্লির আদালতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আগের দু’বার ইডির সওয়ালে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বুধবার অবশ্য ওই মামলা শোনার পর স্থানান্তরের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৯
Anubrata Mondal

অনুব্রত মণ্ডল এবং সহগল হোসেন। —ফাইল চিত্র।

সিবিআইয়ের দায়ের করা গরু পাচার মামলার শুনানি এ বার থেকে হবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। ফলে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল যে মামলায় গ্রেফতার, তার যাবতীয় শুনানি এ বার দিল্লিতে হবে।

Advertisement

আগেই ইডির তরফে এই মামলা দিল্লিতে ট্রান্সফারের আবেদন করা হয়েছিল। বুধবার সেই মামলা শোনার পর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী মামলা দিল্লির আদালতে স্থানান্তরের পক্ষেই রায় দিলেন।

এর আগে দু’বার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি হয়েছে। কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন সংক্রান্ত এই মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন এই মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান? আগের দু’বার বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এই প্রশ্নে ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র যে সওয়াল করেন, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বিচারক জানতে চান, কোন আইনে এবং কে এই মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অধিকার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়েছে। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে ২০০৫ সালের জারি করা অর্থ মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তি হাতিয়ার করে সওয়াল করে ইডি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে ৪৪/১সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতেই পারে ইডি। যদিও এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। তিনি আবেদন করেন, সিবিআইয়ের করা মামলা যত দিন না শেষ হচ্ছে, তত দিন যেন এই আবেদন স্থগিত রাখা হয়।

উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় এখন তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত এবং সহগল। একই মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এ ছাড়া আগেই গ্রেফতার হন এনামুল হক এবং বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে ৪৪(১/সি) নম্বর ধারায় এই মামলা স্থানান্তরের জন্য আবেদন করে ইডি। দুই দফায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হয়। তৃতীয় বারের শুনানিতে ইডির আর্জি গ্রহণ করল আদালত।

আরও পড়ুন
Advertisement