CPM

টিকিট না পেয়ে ‘তৃণমূলের টুম্পা’ তুলে নিলেন লাল ঝাণ্ডা, সিপিএম বলল, উনি আমাদেরই লোক

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জনপ্রিয় হয় সিপিএমের তৈরি ‘টুম্পা সোনা’ গানের প্যারোডি জনপ্রিয় হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটে বাস্তবের টুম্পা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন সিপিএমে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জামালপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৮:০৩
As TMC did not give ticket Tumpa Sardar quits party and contested as CPM candidate in Panchayat poll

তৃণমূল ছেড়ে লাল ঝাণ্ডা হাতে টুম্পা। —নিজস্ব চিত্র।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএম ‘টুম্পা সোনা’ গানের প্যারোডি তৈরি করেছিল। সেই প্যারোডি দারুণ ‘হিট’ হলেও ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়েনি। বিধানসভায় একটি আসনও পায়নি সিপিএম। তবে পঞ্চায়েত ভোটে ‘তৃণমূলের টুম্পা’ যোগ দিলেন সিপিএমে। দলবদল করে মনোনয়ন পেয়ে টুম্পা জানালেন, তৃণমূলকে হারাবেন। তাঁকে জেতাতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর এলাকার সিপিএম কর্মীরাও জমিয়ে প্রচার শুরু করছেন।

বর্ধমানের জামালপুরের চকদিঘি পঞ্চায়েতের একটি বুথ মনিরামবাটি ইলামবাজার। সেখানকার ১৮৫ নম্বর বুথের সদস্যা ছিলেন টুম্পা মালিক। সেখানে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন টুম্পা। জেতেনও। কিন্তু এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পাননি তিনি। তাই ক্ষোভে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন সিপিএমে। টুম্পার কথায়, ‘‘আমরা ছোট থেকেই তৃণমূল করি। দলের সদস্যাও ছিলাম। এ বারে আমায় মনোনয়ন দেয়নি তৃণমূল। গ্রামবাসীদের দাবিতেই দল ছেড়ে লাল ঝাণ্ডা ধরেছি। জিতব আমিই।’’ টুম্পার স্বামী তাপস মালিক জানান, স্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানতেন না। তাঁর কথায়, ‘‘অন্য গ্রাম থেকে আজাদ রহমান নামে এক জন তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। উনি আগে সিপিএম নেতা ছিলেন। তাই আমরা ক্ষুব্ধ।’’ তবে স্ত্রীর দলবদল নিয়ে কিছু বলতে রাজি নন তাপস।

Advertisement

টুম্পার দলবদলে ‘দোষের’ কিছু দেখছেন না সিপিএমের জামালপুর-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুকুমার মিত্র স্বয়ং। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দল ভেঙেই তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল। এখন আবার উল্টো স্রোত শুরু হয়েছে। ওই দলে সম্মান না পেয়ে মানুষ আবার আমাদের দিকে ফিরে আসছেন। এঁরা আসলে আমাদেরই লোক ছিলেন। দেরিতে হলেও বোধোদয় হচ্ছে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সময় সিপিএমের আজাদ রহমান এখন তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের টুম্পা ধরেছেন লাল ঝাণ্ডা। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘কে কোথায় প্রার্থী হবেন, সবই ঠিক করে দল। আমি নিজের খুশী মতো প্রার্থী হতে পারি না। এ সব আবদার আমাদের দলে চলে না। তাই কেউ যদি অন্য দলে গিয়ে প্রার্থী হয়ে থাকেন, সেটা তাঁর ব্যাপার।’’তাঁর সংযোজন, ‘‘যে যেদিকেই যান, ভোটযুদ্ধে জয়ী হবে তৃণমূলই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement