Arrest

চাকরির টোপ দিয়ে চার লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক

পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শক্তিগড় শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৩৯

—প্রতীকী ছবি।

বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির আশ্বাস দিয়ে যুবকের সাড়ে চার লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শুভজিৎ ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার বিরাটি শিবাচল মন্দির রোডে তাঁর বাড়ি। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে পুলিশ সুদীপ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে। নিমতা থানা এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হেফাজতে থাকা সুদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় শুভজিতের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ। সুদীপকে জালিয়াতির কাজে শুভজিৎ নিয়োগ করে বলে জানা গিয়েছে। শুভজিতের কাছ থেকে ছ’টি সিমকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃতকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। জালিয়াতিতে ব্যবহৃত আরও সিমকার্ড এবং হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করতে ও গ্যাংয়ের বাকিদের হদিস পেতে ধৃতকে পাঁচ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের চার দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। এর পর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় বেকার অর্ঘ্য প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা ও লোকজনের কাছ থেকে ধার করে কয়েক দফায় ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে জমা করেন। তার পরেও তাঁর চাকরি হয়নি। উল্টে তাঁকে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। বার বার টাকা চাওয়ার বিষয়ে সন্দেহ হয় অর্ঘ্যের। তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারায় সাইবার থানার টেকনিক্যাল সাহায্য নেয়। ফোন নম্বর ও অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। সেই সূত্র ধরেই প্রতারকদের হদিস পেয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement