Murder

গলা কেটে তরুণীকে খুন বর্ধমানে, থানা ঘেরাও করলেন আদিবাসীরা

বুধবার রাতেই তরুণীর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় পূর্ব ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নান্দুর গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে নান্দুরের ঝাপানতলা এলাকায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ২৩:২১

—প্রতীকী চিত্র।

‘মেয়েদের রাত দখলের’ রাতেই এক তরুণীকে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে। সেই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি বৃহস্পতিবার বর্ধমান থানা ঘেরাও করলেন আদিবাসীরা। আদিবাসী পুরুষ-মহিলারা জমায়েতে অংশ নেন। মেয়েদের হাতে ছিল তির-ধনুক-সহ নানা অস্ত্রসস্ত্র। জমায়েত চলাকালীন রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। আদিবাসী সংগঠনের নেতা মহাদেব টুডু বলেন, ‘‘ফুলের মতো নাসিং কলেজের ছাত্রী মেয়েটিকে যে ভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে আমরা ব্যথিত। আমরা চাই অবিলম্বে দোষীকে ধরুক পুলিশ। কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’’ তিনি জানান, তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেননি। তবে যদি জমায়েতের জেরে কারও অসুবিধা হয়, সে জন্য তাঁরা ক্ষমাপ্রার্থী।

Advertisement

বুধবার রাতেই তরুণীর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় পূর্ব ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নান্দুর গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে নান্দুরের ঝাপানতলা এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, মেয়েটির না প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা। তিনি দু’বছর আগে ব্যাঙ্গালুরুর শপিং মলে কাজ করতে যান। দু’দিন আগে তিনি গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন। সন্ধ্যায় বাড়ির পাশেই বাথরুমে যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে বার হন। বেশ খানিকক্ষণ পরে ফিরে না আসায় আশঙ্কা তৈরি হয়। কিছু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে বাড়ি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই তাঁর গলা কাটা দেহ পাওয়া যায়।

এই ঘটনার পরে বর্ধমান থানা ও শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা যান ঘটনাস্থলে। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশ খানিকটা অগ্রগতিও হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি অপরাধী গ্রেফতার হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন