West Bengal Panchayat Election 2023

কাটোয়ায় ভোটের বলি হলেন তৃণমূল এজেন্ট, লাঠি-বাঁশ নিয়ে হামলার অভিযোগ ওড়াল সিপিএম

তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এলাকার সিপিএম নেতা হরিনারায়ণ সামন্ত তাদের কর্মী গৌতম রায়কে ধাক্কা মারেন এবং লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হন। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান দলের ওই বুথ এজেন্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৩:৫২
A TMC booth agent allegedly murdered by CPM in Katwa, Bardhaman East

—প্রতীকী ছবি।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ভোটের বলি হলেন এক তৃণমূল কর্মী। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, শনিবার ভোট চলার সময়ে লাঠি-বাঁশ নিয়ে তাদের বুথ এজেন্ট গৌতম রায়ের উপরে চড়াও হয় সিপিএম। মারধরের জেরেই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “পায়ের তলার মাটি আলগা হচ্ছে বুঝেই মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল।”

শনিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন বুথে। আধা সামরিক বাহিনী পর্যাপ্ত সংখ্যায় না থাকায় উত্তেজনা ছড়ায় বিভিন্ন এলাকায়। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতা হরিনারায়ণ সামন্ত তাদের কর্মী গৌতম রায়কে ধাক্কা মারেন এবং লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হন। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তৃণমূলের বুথ এজেন্ট। তৎক্ষণাৎ তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁদের দলের কর্মীকে বুথের বাইরে টেনে এনে মারধর করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে ভোটদান পর্ব শুরু হওয়ার পরেই বহু জায়গা থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই, আগুন লাগিয়ে দেওয়া, বুথ দখলের অভিযোগ এসেছে। শনিবার যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে মুর্শিদাবাদেই জোড়া খুন হয়েছে। রেজিনগর এবং খড়গ্রামে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। নদিয়ার চাপড়ায় প্রাণ গিয়েছে শাসকদলের কর্মীর। আর এক তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন মালদহের মানিকচকে। কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভার ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটেরহাট ৩৮ নম্বর বুথের মধ্যেই বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মাধব বিশ্বাস নামে এক বিজেপি এজেন্টের। বিরোধীরা যেমন হিংসা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, তেমন তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, একের পর এক ঘটনায় তাঁদের কর্মীদের মৃত্যুতেই স্পষ্ট, কারা হিংসাশ্রয়ী নির্বাচন করছে। তবে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কোথায় প্রশাসন, কোথায় নির্বাচন কমিশন, কোথায়ই বা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী?

আরও পড়ুন
Advertisement