Purba Bardhaman

কেতুগ্রামে চলন্ত বাসে ছাত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নাবালিকার! গ্রেফতার অভিযুক্ত

মাসির সঙ্গে বাসে চেপে বাড়ি ফিরছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। অভিযোগ, বাসটি যখন কেতুগ্রামের কোমরপুরের কাছে পৌঁছয়, তখন আচমকাই বাসে উঠে এক যুবক হামলা চালায় তার উপর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৭
A student death in bus after attck by local man in Ketugram

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চলন্ত বাসে ছাত্রীর গলায় কোপ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পূর্ব বর্ধমানে কেতুগ্রামে নাবালিকা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িযেছে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক ছিল। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের কোমরপুরের কাছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মাসির সঙ্গে বাসে চেপে বাড়ি ফিরছিল জ্যোতি খাতুন নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিযোগ, বাসটি যখন কোমরপুরের কাছে পৌঁছয়, তখন আচমকাই বাসে উঠে এক যুবক হামলা চালায় জ্যোতির উপর। তার গলা লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রের কোপ বসান ওই যুবক। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম বাবু সেখ। ঘটনাস্থল থেকে খানিক দূর থেকে তাকেই পাকড়াও করেছে পুলিশ।

বাসের যাত্রীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন অভিযুক্ত। বাসের মধ্যেই রক্তে ভেসে যায় নাবালিকার শরীর। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ‘‘ঘটনাস্থলেই মেয়েটির মৃত্যু হয়।’’ চালক বাসটি নিয়ে সোজা চলে যান কেতুগ্রাম থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। যদিও তত ক্ষণে জ্যোতির মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, হামলাকারীর নাম বাবু শেখ। তিনি মৃতার গ্রামেরই বাসিন্দা। কেন নাবালিকাকে খুন করলেন অভিযুক্ত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। বাবুর সঙ্গে মৃতার কোনও সম্পর্ক ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরনো কোনও শত্রুতার থেকে এমন ঘটনা ঘটল কি না, সেটাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে খবর।

আরও পড়ুন
Advertisement