সোমবারের ঘটনায় ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। —নিজস্ব চিত্র।
ে
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারপিট এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শক্তিগড় থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বাড়ি বড়শুল উন্নয়নী, বৈকুণ্ঠপুর, আনন্দপল্লি এবং মেমারির দাদপুর এলাকায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগেও মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বড়শুলে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূল এবং সিপিএমের সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষের গোলমালে বেশ কয়েক জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হয় পুলিশও। ওই ঘটনার বিষয়ে শক্তিগড় থানার ওসি দীপক সরকার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বেআইনি জমায়েত, সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া, হামলা এবং খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আগামী ১৯ জুন ধৃতদের আবার আদালতে তোলার নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সিপিএমের প্রার্থীরা বড়শুলে বিডিও অফিসে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বড়শুল আন্ডারপাশের কাছে তৃণমূলের লোকজন রড, লাঠি প্রভৃতি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এতে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট বাধে। তাতে বেশ কয়েক জন জখম হন। কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ ২ পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। তাতে ওসি এবং সাব-ইনস্পেক্টর মলয় দত্ত সহ-কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ।