তৃণমূলে ফিরলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস নিজস্ব চিত্র।
আবারও ভাঙন বিজেপি-তে। সোমবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দু’জনেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন। গেরুয়া শিবির তাঁদের টিকিটও দেয়। এবং দু’জনেই ভোটে জেতেন। তার পর ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন।
মঙ্গলবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদারের হাত থেকে ঘাসফুল পতাকা তুলে নেন বিশ্বজিৎ। দলে ফিরে বাগদার বিধায়ক জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের যজ্ঞে শামিল হতেই বিজেপি ছেড়েছেন। বিজেপিত্যাগী বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘ভুল বোঝাবুঝির কারণেই তৃণমূল ছেড়েছিলাম। ঠিক হয়নি। কিন্তু বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই, দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলাম।’’ তাঁর মতে, ‘‘বিজেপি নেতৃত্ব বাংলা বোঝেন না। বাংলার আবেগ ধরতে পারেনি বিজেপি।’’
বিশ্বজিতের হাতে দলের পতাকা ধরিয়ে পার্থ বলেন, ‘‘বিজেপি-র ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছিলেন না বিশ্বজিৎ। দলের কাছে আবেদন করেন। দল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে।’’
বিজেপি-তে বিশ্বজিতের না-থাকা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। গত বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছিল বিশ্বজিৎকে। তার পর থেকেই জল্পনা দানা বাঁধে, তবে কি এ বার বিশ্বজিৎ ঘরে ফিরবেন? কিন্তু ভোটের আগে দলত্যাগ করেননি মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিশ্বজিৎ। বিজেপি তাঁর আসন বদলে বনগাঁ দক্ষিণ থেকে বাগদায় প্রার্থী করে। স্থানীয় রাজনীতিতে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিশ্বজিতের সম্পর্ক ভাল নয়।
২৪ ঘণ্টা আগে একই ভাবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে তন্ময়ের ফেরা নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল পুলিশের ভয় দেখিয়ে দলে টেনেছে।’’ মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ তৃণমূলে ফেরার পর বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, ‘‘নৈতিকতার প্রশ্নে উনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারতেন। বাগদার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বিশ্বজিৎ। উনি প্রতারক।’’