TMC

TMC: কমরেড দেখা হবে ময়দানে, এ বার গোয়া নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা তৃণমূলের মুখপত্রে

কংগ্রেস ভাঙার যুক্তি খারিজ করে তৃণমূল মুখপত্রে দাবি, ‘কংগ্রেসই যদি ভাঙতে হয়, তা হলে পঞ্জাব-হরিয়ানা-ছত্তীশগড়ে যেত তৃণমূল। তা তো যায়নি।’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ১০:৫৫
চিদম্বরম এবং অভিষেক।

চিদম্বরম এবং অভিষেক। ফাইল চিত্র।

গোয়া প্রসঙ্গে এ বার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলল তৃণমূল। শুক্রবার তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে এই অভিযোগ তুলে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূল যাচ্ছে কংগ্রেসের ভোট কাটতে। কী অদ্ভূত কথা। আর এই খানেই কংগ্রেসের দ্বিচারিতার মুখোশ টেনে খুলে দিলেন অভিষেক।’

গোয়ায় বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেসের সদিচ্ছা নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পবন বর্মা। পবন বলেন, ‘‘আমি গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় দিল্লিতে চিদম্বরমের বাড়ি গিয়েছিলাম। জানিয়েছিলাম, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিরোধী জোট গড়ার পক্ষে। তাঁকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিয়েছিলাম।’’

Advertisement

অন্য দিকে, পানাজিতে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, ‘‘জোট নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে কংগ্রেস। চিদম্বরমকে সম্মান করি, কিন্তু তিনি মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছেন। উনি বিশিষ্ট আইনজীবী। যদি পবন অসত্য অভিযোগ করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, গোয়ার বিধানসভা ভোটে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক পি চিদম্বরম এক আগে জানিয়েছিলেন, গোয়ায় বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের জন্য কংগ্রেসের কাছে তৃণমূলের তরফে কোনও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসেনি। তারই জেরে দুই নেতার ওই প্রতিক্রিয়া।

তৃণমূলের মুখপত্রে ওই ঘটনার জের টেনে লেখা হয়েছে, ‘ঘটনা এটাই যে, তৃণমূল গোয়ায় জোট করার জন্য এই চিদম্বরমের কাছেই গিয়েছিল। সাড়া মেলেনি। আর এখন উল্টো সুরে গাইছেন। নিজেদের অপদার্থতার জাল ঢাকতে একের পর এক মিথ্যার জাল বুনে এ বার ধরা পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস।’ ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গোয়ায় একক বৃহত্তম দল হয়েও কংগ্রেসের সরকার গড়তে না পারাকে ‘অপদার্থতা’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছে তৃণমূল।

কংগ্রেস ভাঙার যুক্তি খারিজ করে তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়র দাবি, ‘কংগ্রেসই যদি ভাঙতে হয়, তা হলে পঞ্জাব-হরিয়ানা-ছত্তীশগড়ে যেত তৃণমূল। তা তো যায়নি। কথা হোক যুক্তিতে। মিথ্যার জাল বুনে নয়।’ তৃণমূলের এই দাবি প্রসঙ্গে রাজ্য কংগ্রেসের এক নেতা শুক্রবার বলেন, ‘‘ভুলে গেলে চলবে না, হরিয়ানায় অশোক তনওয়ারের মতো প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও মমতার উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’

পাঁচ রাজ্যের আসন্ন ভোটের কংগ্রেসের ‘বিপর্যয়ের পূর্বাভাস’ও দিয়েছে তৃণমূল মুখপত্র। লেখা হয়েছে, ‘একের পর এক রাজ্যে ভোট আসছে। ঝাঁপিয়ে পড়ে জেতার কোনও ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি (কংগ্রেসের)। পঞ্জাবের মতো রাজ্যে নিজেদের অন্তর্কলহে ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।’

নরেন্দ্র মোদীকে সরকার হটাতে তৃণমূল যে এখনও কংগ্রেসের হাত ধরতে আগ্রহী সে বার্তাও দেওয়া হয়েছে দলের মুখপত্রে। লেখা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করতে হবে। এই লড়াইয়ে কংগ্রেস যদি সঙ্গে থাকে তা হলে বহুত আচ্ছা। নইলে কমরেড দেখা হবে ময়দানে। জেতাটাই লক্ষ্য।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement