Howrah Robbery

‘গোল্ডেন ডাকু’ সুবোধ নন, ডোমজুড়ে ডাকাতিকাণ্ডের মূলচক্রী বিহারের ‘চাচি’! এ রাজ্যে নিয়ে এল পুলিশ

হাওড়ার ডাকাতিকাণ্ডে সুবোধ সিংহের নাম উঠে এসেছিল শুরুতে। সেই মতো ‘গোল্ডেন ডাকু’ সুবোধের ‘ডানহাত’ বিকাশ ঝায়ের খোঁজও করছিল পুলিশ। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল, মূলচক্রী এক মহিলা!

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১৬:২২
চাচি ওরফে আশা মাহাতো।

চাচি ওরফে আশা মাহাতো। —নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ার ডাকাতিকাণ্ডে সুবোধ সিংহ ও তাঁর সঙ্গীদের নাম উঠে এসেছিল তদন্তের শুরুতে। সেই মতো ‘গোল্ডেন ডাকু’ সুবোধের ‘ডানহাত’ বিকাশ ঝায়েরও খোঁজ করছিল পুলিশ। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়েছে, দেখা গিয়েছে, কোনও পুরুষ নন, ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনার মূলচক্রী এক মহিলা! যিনি পরিচিত ‘চাচি’ নামে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘চাচি’ বিহারের বাসিন্দা। ভাল নাম আশা মাহাতো। বৃহস্পতিবার তাঁকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে হাওড়ায় নিয়ে এসেছেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। সম্প্রতি বিহারের বেউর জেল থেকে সুবোধকে এ রাজ্যে এনে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। তখন থেকেই তদন্তকারীরা মনে করছিলেন, এ বার হয়তো ডোমজুড়ের ডাকাতিকাণ্ডের কিনারা করা সম্ভব হবে। সুবোধের সঙ্গী বিকাশের খোঁজে তাঁর ‘শাগরেদ’ রবীন্দ্র সাহানিকেও বিহার থেকে গ্রেফতার করে হাওড়ায় নিয়ে এসেছিল পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করেই চাচির নাম উঠে আসে। তার পর খোঁজখবর করে জানা যায়, এককালে সুবোধের গ্যাংয়ে মণীশ মাহাতো ওরফে ‘মুনিয়া’ নামে এক সদস্য ছিলেন। সেই মুনিয়াকে সুবোধের গ্যাং থেকে বার করে এনেছিলেন চাচিই। তাঁর বুদ্ধিতে মুনিয়া নিজের গ্যাং বানান। তদন্তে দেখা গিয়েছে, মুনিয়ার লোকেরা হাওড়া ডাকাতি করেছে।

গত মাসে চার সশস্ত্র দুষ্কৃতীর একটি দল ডোমজুড়ের একটি সোনার দোকানে ঢোকে। তার পর বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারধর করে, কর্মীদের বেঁধে লুটপাট চালায় তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির পর দলটি একাধিক বার ট্রেন বদলে বিহার পালিয়ে গিয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ চাচি-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী জানান, অনেক দিন থেকেই আসানসোলে ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন চাচি। ডাকাতিতে ব্যবহার হওয়া যে দু’টি বাইক উদ্ধার হয়েছে, সেই বাইক দু’টি তিনিই কিনে দিয়েছিলেন। গত মে মাসে তাঁরা চলে আসেন ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি এলাকায়। সেখান থেকেই সোনার দোকানে রেকি শুরু হয়। ক্রেতা সেজে দোকানে গিয়েছিলেন চাচিই। কমিশনার বলেন, ‘‘পাঁচ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোনার গয়না উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। এই ঘটনায় আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement