Shantanu Banerjee

কুন্তলকে এত পরে আর আমায় এত তাড়াতাড়ি! তৃণমূল বহিষ্কার করেছে শুনে বিস্মিতই হন শান্তনু

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তনু এবং কুন্তলকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। একই মামলায় গ্রেফতার হলেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেছে তাঁর দল। বহিষ্কার করেনি।

Advertisement
সারমিন বেগম
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১২:৫১
Arrested Shantanu Banerjee did not believe that TMC had expelled him

কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হন গত ২১ জানুয়ারি। শান্তনুকে ইডি ধরে গত ১১ মার্চ। ১৪ মার্চ দু’জনকেই বহিষ্কার ঘোষণা করে তৃণমূল।

একই দুর্নীতি মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের ৫১ দিন পর তাঁকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। কিন্তু তাঁর বেলা দল সময় নিল মাত্র ৪ দিন! এটাই মানতে পারছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘনিষ্ঠ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তাঁর বহিষ্কারের খবর পেয়ে বিস্মিত হয়ে যান হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। দল তাঁর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এত তাড়াতাড়ি নেবে, এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না শান্তনু।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হুগলির দুই যুব নেতা শান্তনু এবং কুন্তলকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। একই মামলায় গ্রেফতার হলেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেছে তাঁর দল। বহিষ্কার করেনি। এখনও এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকও গ্রেফতার হয়েছেন ওই নিয়োগ দুর্নীতিতেই। কিন্তু তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করেছে হুগলির দুই তৃণমূল নেতাকে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা।

Advertisement

শশী বলেন, ‘‘আমরা বরাবর বলে এসেছি, এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘তৃণমূল কখনওই দোষীদের সমর্থন করেনি। বরং তারা চায় এই দুর্নীতির তদন্তে গতি আসুক। দ্রুত এর সমাধান হোক। এই প্রক্রিয়ায় যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, দল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করেছে। আর এখানেই অন্যান্য দলের সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না। অথচ বিজেপিকে দেখা গিয়েছে,স্পষ্টতই তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে।’’ যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূলের আরও এক বিধায়ক তথা দলের সদস্য মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করতে দেখা যায়নি শাসকদলকে। একই ভাবে কয়লা এবং গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও প্রকাশ্যে সমর্থন করেছে দল।

কিন্তু তাঁর বেলা দল বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত এত দ্রুত নিল কেন সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না শান্তনু।

প্রসঙ্গত, রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল গ্রেফতার হন গত ২১ জানুয়ারি। কুন্তলের বিরুদ্ধে নিয়োগের নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ১৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্য দিকে, কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনুকে ইডি প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে গত ১১ মার্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement