—ফাইল চিত্র।
কী ভাবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে শুক্রবার তা ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২১-এর মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন হবে ৫০-৫০ ফর্মূলায়। অর্থাৎ নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং দশম শ্রেণির টেস্টের প্রাপ্ত নম্বরের ফলাফলকে গুরুত্ব দিয়ে এই মূল্যায়ন হবে। কেউ যদি মূল্যায়নে অসন্তুষ্ট হন তা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০১৯-এর মাধ্যমিকে যে চার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর তাতে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের উপর ৪০ শতাংশ এবং ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি) প্রাপ্ত নম্বরের উপর ৬০ শতাংশ। এই ফর্মুলায় উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক দু’ক্ষেত্রেই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে পড়ুয়াদের। তবে সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। মূল্যায়নের নম্বর সে ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।
করোনা পরিস্থিতির জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছে। মূল্যায়নের ভিত্তিতে কী ভাবে ফল প্রকাশ করা হবে সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল। শুক্রবার এ বিষয়ে সেই সিদ্ধান্ত জানাল পর্ষদ এবং উচ্চশিক্ষা সংসদ।
যখন সিবিএসই-সহ অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল হয়, রাজ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়েও একটা সংশয় তৈরি হয়। আদৌ কি কোভিড পরিস্থিতিতে পরীক্ষা করানো উচিত তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
পরীক্ষার বিষয়টি স্থির করার জন্য রাজ্য সরকার ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। একই সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ে সাধারণ মানুষের মত চাওয়া হয়। কমিটির রিপোর্ট এবং জনমতের ভিত্তিতে শেষমেশ মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হবে।