মিছিলের সামনের সারিতে অঙ্কিতা অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
‘অযোগ্য’ হিসাবে শিক্ষিকার চাকরি খুইয়েছিলেন তিনি। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় তিনিই প্রথম চাকরি হারিয়েছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা সেই অঙ্কিতা অধিকারীকেই এ বার ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের হয়ে মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল।
বাম-বিজেপির ষড়যন্ত্রেই প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি গিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। শনিবার হলদিবাড়িতে শাসকদলের সে রকমই একটি মিছিল ছিল। সেই মিছিলেই অঙ্কিতাকে দেখা গিয়েছে।
২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেলে নাম ছিল অঙ্কিতার। তিনি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর নিয়োগ বেআইনি, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আর এক চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। ওই মামলায় ২০২২ সালের ১৭ মে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে বেতনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যার চাকরি এবং বেতনের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পান ববিতা। পরে দেখা যায় তাঁরও নম্বর মূল্যায়নে ভুল রয়েছে। পরে ববিতারও চাকরি চলে যায়। শেষমেশ ওই চাকরি পেয়েছিলেন আর এক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে। যার জেরে চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর। ফলে এখন অনামিকাও চাকরিহারা।
হাই কোর্ট তাঁর চাকরি বাতিল করার যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিলেন অঙ্কিতা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ তাঁর নিয়োগকে ‘সন্দেহজনক’ বলে চিহ্নিত করে সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।