(বাঁ দিকে) আনারুল হোসেন। (ডান দিকে) বগটুই-কাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া বাড়ি। —ফাইল চিত্র।
মেয়ের বিয়ের উপলক্ষে বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সাত দিনের জন্য অন্তবর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর হয়েছে বগটুই-১ ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতির। মঙ্গলবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মানবিক কারণে ধৃতের আবেদন মেনে নিয়েছে পুলিশ।
বগটুই-কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আনারুল হোসেন-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই আনারুল সম্প্রতি জামিনের আবেদন করেছিলেন আদালতে। তিনি জানান, আগামী ২৪ নভেম্বর তাঁর মেয়ের বিয়ে। তাই তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেওয়া হোক। মঙ্গলবার আদালত জানিয়েছে, আনারুল তাঁর রামপুরহাটের বাড়িতে যেতে পারবেন। তবে তার জন্য বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। যেমন, ওই সাত দিন বাড়িতেই থাকতে হবে আনারুলকে। বিয়ের জন্য অনুষ্ঠানবাড়িতে তিনি যেতে পারবেন। কিন্তু এলাকায় ঘুরতে পারবেন না। সর্বদা পুলিশি প্রহরায় থাকতে হবে। আর ছাড়া পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আবার থানায় আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁকে। আত্মসমর্পণের তথ্য আদালতে জানাবেন আনারুলের আইনজীবী।
২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাট থানার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও স্থানীয় উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পর সেই রাতেই ভাদুর অনুগামীরা বগটুইয়ের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তাতে ন’জন মহিলা-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই-কাণ্ডের তদন্তভার পায় সিবিআই। পরে ওই মামলার সঙ্গে ভাদু-খুনের মামলাও যুক্ত হয়। দুই মামলারই তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অন্য দিকে, বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।