Death

এক ব্যক্তির মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য নদিয়ায়, পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ

শওকত দীর্ঘ দিন মাদক পাচারের অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। আবার তাঁকে ধরতে যায় পুলিশ। তখনই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
করিমপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৫
A photograph of death.

নদিয়ার করিমপুরে বাড়ির কাছের বাঁশবাগানে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। —ফাইল ছবি।

নদিয়ার করিমপুরে বাড়ির কাছের বাঁশবাগানে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শনিবার রাতে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের দাবি, পুলিশের মারে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। অতর্কিতে পুলিশি হানার কারণেই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম শওকত মণ্ডল। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাঁকে পাকড়াও করতে এসেছিল পুলিশ। পরে পুলিশের মারে প্রাণ যায় তাঁর। দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়দের একাংশ। দীর্ঘ ক্ষণ পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে শওকতের মৃত্যুর কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানায়নি পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার মুরুটিয়া থানার ব্রজনাথপুরের বাসিন্দা শওকত দীর্ঘ দিন মাদক পাচারের অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার ওই এলাকা থেকে কাশির নিষিদ্ধ সিরাপ ফেনসিডিল পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন এক ব্যক্তি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শওকত সম্পর্কে তথ্য পায় পুলিশ। শনিবার রাতে শওকতের বাড়িতে অভিযান চালায় তারা। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ আসার খবর পালানোর চেষ্টা করেন শওকত। কিছুটা দূরে তাঁকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন পুলিশ কর্মীরা। ফলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পরিবারের বক্তব্য, শওকতকে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষতের দাগ রয়েছে। প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় শওকতের। যদিও তাদের অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তেহট্ট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন,‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ যে কেউ করতে পারেন। কিন্তু সবটাই আইনি প্রক্রিয়ায় হবে। কেউ দোষী হলে শাস্তি দেওয়া হবে। এখন তদন্ত চলছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement