Ambulance

Death: ভাড়া নিয়ে মতানৈক্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে দিয়ে গেল অ্যাম্বুল্যান্স

রবিবার হঠাৎই হৃদযন্ত্রের সমস্যা শুরু হয় অভিজিৎ রায়ের। অনেক কষ্টে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বারুইপুর শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২১ ১৭:০৬

নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির সামনের রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে গেলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। দীর্ঘ ক্ষণ পড়ে রইল দেহ। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির অন্তর্গত চকমানিক গ্রাম। কয়েকঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকার পর স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান উদ্যোগী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সৎকার করা গেল দেহ।

করোনা বিধিনিষেধের কারণে এমনিতেই গাড়ি নেই রাস্তায়। অ্যাম্বুল্যান্স পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর মধ্যেই চকমানিক এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার বিকেলে হঠাৎই তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা শুরু হয়। অনেক কষ্টে অভিজিতের মা ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করেন। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। পথেই মৃত্যু হয় অভিজিতের। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরেই অ্যাম্বুল্যান্স চালক নানারকম যুক্তি খাড়া করতে শুরু করেন। মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার বদলে প্রচুর টাকাও তিনি দাবি করেন বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। শেষ পর্যন্ত দেহ গাড়িতে তুলতে রাজি হয়ে হাসপাতাল থেকে রওনা দিলেও মাঝপথেই মৃতদেহ ফেলে চলে যান চালক। মৃতের মা ছেলের দেহ বাড়িতে ফেরানোর জন্য রাস্তায় বসেই কান্নাকাটি শুরু করেন। স্থানীয় মানুষের ঘটনা লক্ষ্য করে এগিয়ে আসেন, খবর যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কানে।

Advertisement

বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন ঘটনাস্থলে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পিপিই পরে শববাহী গাড়িতে তুলে দেন অভিজিৎ রায়ের দেহটি। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বজবজ কালীবাড়ি চিত্রলগঞ্জে। রাতে সেরে ফেলা হয় দাহ। এ বিষয়ে বুচান বলেন, ‘‘অসাধু এই অ্যাম্বুল্যান্স চালক অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement