বাঘাযতীনে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ফ্ল্যাটবাড়ির নীচে দোকানে অবৈধ সংস্কারের অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার মাঝেই বাঘাযতীনে আরও এক অবৈধ নির্মাণকাজের অভিযোগ উঠল। বাঘাযতীনের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফ্ল্যাটবাড়ির একতলার দোকান ঘরে অবৈধ ভাবে সংস্কারের কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই কাজের জন্য ঠিকাদারের কোনও অনুমোদন ছিল না। খবর পেয়ে ওই নির্মাণকাজে যুক্ত এক শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পাটুলি থানার পুলিশ। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ওই দোকান সংস্কারের কাজটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাঘাযতীনের রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডের ধারে ওই ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায় দোকানের জন্য জায়গা রয়েছে। অভিযোগ, দোকানের শাটার ভিতর থেকে বন্ধ করে দোকানের ভিতরের একটি পিলার ভাঙার কাজ চলছিল। ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের দাবি, ওই পিলার ভাঙার জন্য তাঁদের থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফ্ল্যাটবাড়ির ওই পিলারটি ভবনের ১৪ ফুটের একটি বিম (জয়েস্ট)-কে ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। পিলারটি ভেঙে ফেললে ফ্ল্যাটবাড়ির ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এ নিয়ে ফ্ল্যাটের মালিকেরা থানায় অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংস্কারের কাজে যুক্ত মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করেছে পুর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি ভাঙার কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকায় আরও কোথাও বেআইনি নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় সেই বাঘাযতীন থেকেই আরও এক বেআইনি নির্মাণ এবং সংস্কারের অভিযোগ উঠে এল।
১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানান, ২০০৫ সাল থেকে ওই ফ্ল্যাটবাড়িটি রয়েছে। অভিযোগের কথা তাঁর কানেও গিয়েছে। তিনি জানান, ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায় দু’টি পৃথক দোকানঘর ভেঙে একটি দোকান করার চেষ্টা চলছিল। অবৈধ ভাবে সংস্কারের অভিযোগে পুলিশের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন কাউন্সিলর।