মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। —ফাইল ছবি।
সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠল মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর বিরুদ্ধে। অভিযোগ গিয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। তার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে ভূমি দফতর।
সরকারি জমি জবরদখলকারীদের রেয়াত করা হবে না— ক’মাস আগেই স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরে ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। ভূমি দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, রাজ্য ভূমি দফতরের নির্দেশিকা জেলায় আসার পরে শুক্রবার শালবনির বিডিও রোমান মণ্ডলের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠান পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুমনসৌরভ মহান্তি। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত-রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বিডিও মানছেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওখানকার জমি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন।”
শ্রীকান্তের স্ত্রী অঞ্জনা মাহাতো জেলা পরিষদ সদস্য। জানা যাচ্ছে, শালবনির সৈয়দপুরের দক্ষিণশোল মৌজায় শ্রীকান্ত তাঁর শ্যালক তরুণ মাহাতোর নামে কয়েক কোটি টাকায় ৩.৬০ একর জমি কিনেছেন। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে তার বাইরে আরও প্রায় ছ’একর জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করেছেন মন্ত্রী। এর মধ্যে গ্রামের একমাত্র শ্মশান, পুকুর, চাষযোগ্য জমিও রয়েছে। ওই জমি উদ্বাস্তু কলোনির। স্থানীয়দের পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানান শুকদেব মজুমদার-সহ কিছু গ্রামবাসী। শুকদেব বলেন, “উনি (শ্রীকান্ত) জোর করে জমি দখল করেছেন। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে, হুমকি দেওয়া হয়েছে।” কিছু প্রতিবাদীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।
শ্রীকান্ত অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওই জমি আমার নয়। আর ওখানে জোর করে জমি দখল হয়নি।” উল্লেখ্য, আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন শ্রীকান্ত। তৃণমূলের তারকা সাংসদ, বিধায়ক থেকে একাংশ জেলা নেতৃত্ব ‘লুটেপুটে খাচ্ছে’ বলে শো-কজ়ের মুখে পর্যন্ত পড়েছিলেন তিনি। পরে দলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তখন মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে সতর্ক করেছিলেন।