Alipore Women's Correctional Facility

সরছে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ঠিকানা আলিপুর মহিলা জেল, কেন সরানো হচ্ছে শহরের কেন্দ্র থেকে?

শতাব্দী-প্রাচীন আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মতো আলিপুর মহিলা জেলকেও কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় সরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৮
আলিপুর মহিলা জেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

আলিপুর মহিলা জেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

শহরের কেন্দ্রে আর কোনও সংশোধনাগার থাকবে না। শতাব্দী-প্রাচীন আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মতো আলিপুর মহিলা জেলকেও কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় সরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কারা দফতর সূত্রে খবর, হাওড়ার জগাছা ব্লকের বালটিকুরি মৌজা এলাকায় তৈরি হচ্ছে নতুন সংশোধনাগার। তা সম্পূর্ণ হলেই বন্দিদের সেখানে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। লক্ষ্য— চলতি বছরেই স্থানান্তকরণের প্রক্রিয়া শেষ করা।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার সরানোর ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই অনুমতি মিলেছে। জেল সুপারকেও বিষয়টি দেখভালের জন্য বলা হয়েছে। আলিপুর মহিলা জেলে বর্তমানে বন্দিদের সংখ্যা অন্তত ৩৫০। তাঁদের নতুন সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করতে ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৪৮ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে বলে খবর কারা দফতর সূত্রে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আলিপুর মহিলা জেলে রয়েছেন। আলিপুর মহিলা জেলের পাশাপাশি হাওড়া জেলা সংশোধনাগারটিকেও সরানো হচ্ছে। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জগাছা ব্লকেরই সাঁতরাগাছি মৌজা এলাকায়।

শহরের কেন্দ্রে থাকা আলিপুর ও প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার এবং আলিপুর মহিলা জেলকে সরানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সাল থেকেই। কারা দফতরের একাংশের মত, এর পিছনে মূলত দু’টি কারণ রয়েছে। এক, নিরাপত্তা এবং দুই, শহরের কেন্দ্রে অনেকটা জমি একসঙ্গে পাওয়ার সুযোগ। এক কর্তার কথায়, ‘‘দেশের বেশির ভাগ শহরের কেন্দ্র থেকে জেল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর প্রধান কারণই হল নিরাপত্তা। আলিপুরের মতো ব্যস্ত এলাকায় জেল থাকাটা নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।’’

জেল সংক্রান্ত বিষয়ে ‘আদালত বান্ধব’ হিসাবে কাজ করেন আইনজীবী তাপসকুমার ভঞ্জ। তিনি বলেন, ‘‘শহর থেকে জেল সরানো নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। মহিলা বন্দিদের থাকার জন্য ভাল পরিবেশ পেলে অসুবিধা নেই। শুনেছি আলিপুরের তুলনায় হাওড়ার জায়গাটি বড়। তবে তাঁদের ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়া হয়। খাবারের গুণমান এবং চিকিৎসা পরিষেবার দিকে কর্তৃপক্ষের আরও নজর দেওয়া উচিত।’’ আইনজীবী কল্লোল গুহঠাকুরতা এবং ধৃতি চন্দ্রেরও মত, যে ভাবে প্রতি বছরই জেলে মহিলা কয়েদিদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আরও মহিলা সংশোধনাগার তৈরি হওয়া দরকার।

আরও পড়ুন
Advertisement