সংখ্যালঘুদের জন্য বৃত্তি প্রকল্পেও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ট্যাবের পর এ বার সরকারি বৃত্তি প্রকল্পেও কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ট্যাব-কাণ্ডের মতো অনেক পড়ুয়ার বৃত্তির টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে! যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়, জেলাশাসক এবং জেলা শিক্ষা দফতরে অভিযোগও দায়ের করেছেন অনেক পড়ুয়া।
সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেয় রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত রতুয়ার বাটনা জেএম সিনিয়র মাদ্রাসায়। সেখানে স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বৃত্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। প্রথম দফার ২৪ হাজার টাকাও পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দ্বিতীয় বার আর টাকা ঢোকেনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। শুধু তা-ই নয়, খোঁজখবর করে দেখা গিয়েছে, অন্তত ১৫০ জন পড়ুয়ার দ্বিতীয় বারের টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তাঁরা কেউ মাদ্রাসার পড়ুয়া নন বলেই দাবি।
মাদ্রাসা সূত্রে খবর, বৃত্তির ফর্ম ফিলআপের দায়িত্বে থাকা কম্পিউটার শিক্ষক ইনজামামুল হকের বিরুদ্ধেই যাবতীয় অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পড়ুয়ারা প্রথমে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। ইনজামামুল অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্য দিকে, মাদ্রাসার টিআইসি গোলাম রসুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যে সব পড়ুয়া বৃত্তির টাকা পাননি, তারা সেই টাকা পেয়ে যাবেন। পাল্টা পড়ুয়াদের প্রশ্ন, আগামী শিক্ষাবর্ষেই তাঁদের স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা কী ভাবে বৃত্তির টাকা পাবেন?
পড়ুয়াদের অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া। তদন্ত চেয়ে সিআইডির কাছেও আবেদন করেছেন পড়ুয়ারা।