Primary Teacher Recruitment Case

প্রাথমিকে নিয়োগ: প্যানেল প্রকাশের পর দিনই মামলা, গ্রহণ করল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ

২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০৫
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। —ফাইল চিত্র ।

প্রাথমিকে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন মামলা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০২২ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সাড়ে ন’হাজার পদে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়েরের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুমন্ত কোলে-সহ ১০ জন চাকরিপ্রার্থী সেই মামলা করতে চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১১,৭৫৮ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বিএড এবং ডিএলএড— উভয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। তবে পরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা সুযোগ পাবেন না।

সুমন্ত-সহ ওই ১০ জন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, যখন ২০২২ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, তখন জানানো হয়েছিল যে, ডিএলএডের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রিধারীরাও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য ফর্ম ফিলআপ করতে পারবেন। সুমন্ত-সহ ওই ১০ জন চাকরিপ্রার্থীর বিএড এবং ডিএলএড, উভয় ডিগ্রিই রয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিএড-এ প্রাপ্ত নম্বর বেশি হওয়ায়, তাঁরা সেই নম্বর ব্যবহার করে ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন। আর সেই কারণেই প্যানেলে তাঁদের নাম নেই। অথচ তাঁদের কাছে ডিএলএডের ডিগ্রিও রয়েছে। তাই তাঁদের নামও প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাথমিকের ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য। প্যানেল প্রকাশেও বাধা তুলে নেয় বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহ্‌র বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত জানায়, প্রাথমিকে ১১ হাজার ৭৫৮ শূন্যপদে নিয়োগ করা যাবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সম্প্রতি ২০২২ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৯ হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। তার মধ্যেই আবার সেই নিয়োগ নিয়ে নতুন করে মামলা উঠল কলকাতা হাই কোর্টে।

আরও পড়ুন
Advertisement