সাংসদ-অভিনেতা দেব। —ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে ছিলেন না। ‘রাজভবন চলো’র মিছিলেও তাঁকে দেখা যায়নি। গত চার দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নামঞ্চে তিনি এর বারের জন্যও পৌঁছননি। অবশেষে অভিষেক-ধর্নার পঞ্চম দিনে রাজভবনের অদূরে তৃণমূলের মঞ্চে এলেন অভিনেতা তথা ঘাটালের সাংসদ দেব। তিনি যখন গাড়ি থেকে নামছেন, তখন মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনিই মাইক হাতে বলতে শুরু করেন, ‘‘আমাদের সাংসদ দেব এসেছেন। এই দেব, আয় উপরে উঠে আয়।’’
সোমবার বিকাল ৪টেয় অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার সওয়া এক ঘণ্টা আগে ধর্নামঞ্চে পৌঁছলেন দেব। অভিষেকের দু’দিনের দিল্লির কর্মসূচিতে এক দিনও দেবকে দেখা যায়নি। যেমন দেখা যায়নি যাদবপুরের নায়িকা-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। কিন্তু বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান ছিলেন অভিষেকের রাজঘাটের কর্মসূচিতে। দলের কর্মসূচিতে দেব-মিমিদের ধারাবাহিক অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তো বটেই, দলের মধ্যেও ‘কৌতূহল’ তৈরি হচ্ছিল। কারণ, সামনেই লোকসভা ভোট। তারকা সাংসদদের দলের কর্মসূচি ‘এড়িয়ে’ যাওয়ায় তাই প্রশ্ন উঠছিল তাঁদের ঠিকিট পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে। যদিও দেবের তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লির কর্মসূচির সময় তাঁর নতুন ছবি ‘বাঘাযতীন’-এর প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই তিনি যেতে পারেননি। মিমির ক্ষেত্রেও তাঁর পরের ছবি ‘রক্তবীজ’ নিয়ে ব্যস্ততার কথা শোনা গিয়েছিল।
রবিবারই দেব গিয়েছিলেন নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ঘাটালের প্লাবন পরিস্থিতি পরিদর্শনে। সেই সময়ে ফিরহাদ, মদন মিত্রদের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছিল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঘাটালের সাংসদ বলেছিলেন, ‘‘দুর্নীতি করলে শাস্তি হোক।’’ ঘটনাচক্রে, সোমবার যখন মঞ্চে সেই ফিরহাদই বক্ত়ৃতা দিচ্ছেন, তখন সেখানে পৌঁছলেন দেব। তবে সোমবার বেলা ৩টে পর্যন্ত মিমিকে দেখা যায়নি।