TMC

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, পার্থ-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা ফেরার! টাকা ফেরাচ্ছেন দলের এক উপপ্রধান

অতনু গুছাইত দীর্ঘ দিন পলাতক। অথচ তাঁর হয়ে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কোলাঘাট-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মুজিবর তরফদার। প্রশ্ন উঠছে, অতনুর সঙ্গে মুজিবরের সম্পর্কটা ঠিক কী?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কোলাঘাট শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৩০
অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কোলাঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত।

অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কোলাঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত। প্রতীকী ছবি।

চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত কোলাঘাটের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত দীর্ঘ দিন পলাতক। অথচ তাঁর হয়ে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন কোলাঘাট-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মুজিবর তরফদার। সম্প্রতি এক প্রতারিতকে মুজিবর ৮ লক্ষ টাকার একটি চেকও দেন। তবে চেক বাউন্স করায় মুজিবুরের বিরুদ্ধে তমলুকের এসডিপিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রসেনজিৎ কুইলা নামে প্রতারিত ওই যুবক।

প্রশ্ন উঠছে, অতনুর সঙ্গে মুজিবরের সম্পর্কটা ঠিক কী?

Advertisement

মুজিবর ফোন ধরেনি। উত্তর দেননি মেসেজেরও। তৃণমূলের কোলাঘাট ব্লক সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকে, দল তার পাশে থাকবে না।’’

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে এক সময়ে পরিচিত ছিলেন অতনু। একদা তিনি কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। আর কোলাঘাটের বড়িশা গ্রামের বছর সাতাশের মুজিবর ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে উপপ্রধান হন। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর শিবিরের নেতা ছিলেন মুজিবর। উপপ্রধান হওয়ার পরে অতনুর সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, ক্রমে অতনুর বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন মুজিবর। মাঝেমধ্যে অতনুর হয়ে তিনিই চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে লেনদেন রফা করতেন। জাতীয় সড়কের জমি কম দাম কিনে চড়া দরে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে মুজিবরের বিরুদ্ধে। শোনা যায়, মুজিবর ঝাড়গ্রামে অতনুর খামারবাড়ি বিক্রিরও মধ্যস্থতা করছেন।

দাসপুরের হোটেল ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ কুইলার দাবি, আত্মীয়দের চাকরির জন্য তিনি অতনুকে ৬৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। অতনু টাকা ফেরত না দেওয়ায় তমলুক আদালতে মামলা করেন প্রসেনজিৎ। প্রসেনজিতের দাবি, সম্প্রতি মুজিবর তাঁকে জানান, অতনুর থেকে টাকা নিয়ে ফিরিয়ে দেবেন। তবে মামলা তুলে নিতে হবে। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘শর্তে রাজি হওয়ায় ২২ অগস্ট মুজিবর আমাকে ৮ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয়। কিন্তু চেক ব্যাঙ্কে জমা দিলে বাউন্স করে।’’ এর পরই তিনি প্রতারণার অভিযোগ জানান তমলুকের এসডিপিও-র কাছে। তমলুকের এসডিপিও আলি আবুবক্কর টিটি বলেন, ‘‘মুজিবর তরফদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement