ফাইল চিত্র।
ফের ত্রিপুরায় যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ বার আক্রান্ত দলীয় নেতাদের পাশে দাঁড়াতে। তবে সেই সফরের আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তথা বিজেপি-কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক। বললেন, ক্ষমতা থাকলে আমাকে আটকাও!
শনিবার রাতে টুইট করে ত্রিপুরা-সফরের কর্মসূচির ঘোষণা করেন অভিষেক। ওই টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় আক্রান্ত দলের যুব নেতাদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার ওই রাজ্যে যাবেন।
শনিবার সকালের পর রাতে ফের যুব তৃণমূল নেতারা ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, ওই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই এই হামলায় জড়িত। যদিও একে সাজানো ঘটনা বলে অভিযোগ নস্যাৎ করেছে বিজেপি। তবে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ত্রিপুরায় দলের সংগঠন বাড়াতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিতেও তাঁদের কর্মীদের নিশানা করছে বিজেপি।
Tomorrow, I am coming to #Tripura to stand by every Trinamool worker who were brutally attacked by @BJP4Tripura goons today.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) August 7, 2021
It is my promise that I shall continue fighting till the very last drop of my blood.
STOP ME IF YOU CAN @BjpBiplab!#TripuraDeservesBetter
আমাদের কর্মীরা এখনও আটকে খোয়াইতে। থানায়। দুটো রাস্তাই অবরোধ করে রেখেছে সশস্ত্র গুন্ডারা। অবিলম্বে যথাযথ নিরাপত্তাবাহিনী পাঠিয়ে উদ্ধার করা হোক।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 7, 2021
হামলার পর শনিবার রাত ১১টা নাগাদ টুইট করে অভিষেক জানিয়েছেন, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার ত্রিপুরায় যাবেন তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপি গুন্ডাদের হাতে নৃশংস ভাবে আক্রান্ত প্রত্যেক তৃণমূল কর্মীর পাশে দাঁড়াতে আগামিকাল (রবিবার) আমি ত্রিপুরায় আসছি। আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। এটা আমার প্রতিশ্রুতি।’ সেই সঙ্গে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের দিকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘যদি পার তো আমাকে আটকে দেখাও।’ নিজের টুইটারের হ্যাশট্যাগের মাধ্যমেও ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে ত্রিপুরায় আমবাসায় আক্রান্ত হন দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহা নামে তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীরা। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপি-র দিকে। তবে তা নিয়ে দু’দলের চাপানউতরের মাঝে রাতে ফের আর একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিজেপি-র কাছে তৃণমূলের নেতারা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। এর পরই ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান অভিষেক। অভিষেকের আগেই অবশ্য ত্রিপুরায় যাওয়ার কর্মসূচি ছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের। এ ছাড়া, এই মুহূর্তে ওই রাজ্যে রয়েছেন দলের প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী।
শনিবার অভিষেকের মতোই টুইটারে দলীয় কর্মীদের উপর বিজেপি-র হামলার অভিযোগ এনেছেন কুণাল। তাঁর দাবি, সশস্ত্র গুন্ডারা তৃণমূল কর্মীদের রাস্তা আটকে রেখেছে। অবিলম্বে নিরাপত্তাবাহিনী পাঠিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হোক।
প্রসঙ্গত, সোমবার ত্রিপুরায় গিয়ে আগরতলা থেকে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্বয়ং অভিষেক। সে ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছিল ওই রাজ্যের বিজেপি-র নেতাদের দিকে।