Abhishek Banerjee

Abhishek-Suvendu: দিলীপ ‘গুন্ডা’, শুভেন্দু ‘গদ্দার’! আমার নাম করে ‘তোলাবাজ’ বলতে পারবি? প্রশ্ন অভিষেকের

শুভেন্দুই প্রথম এক জনসভা থেকে অভিষেকের নাম না করে ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’ স্লোগান দিয়েছিলেন। সেই জনসভাতেই বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ১৭:৪৭

ফাইল চিত্র।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের সময় তাঁর নাম না করে কিছু প্রচলিত শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন বিরোধীরা। সেই প্রবণতাকে বিরোধীদের ‘সাহসের অভাব’ বলে বিঁধে তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠেছিলেন অভিষেক। সেখানেই বিরোধী নেতাদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘‘বুকের পাটা থাকলে বল, তোলাবাজের নাম অভিষেক ব্যানার্জি।’’

কাদের উদ্দেশে অভিষেকের এই মন্তব্য, অভিষেক সরাসরি তা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘আমার নাম নিয়ে যখন কথা বলে, তখন এরা আমার নাম করে না। কারণ এদের বুকের পাটা নেই।’’ তবে এর পাশাপাশিই অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি চাইলে নাম নিয়ে আক্রমণ করতে পারেন।

Advertisement

বস্তুত, রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই এর পর অভিষেক যোগ করেন, ‘‘আমি নাম নিয়ে বলছি। বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী। তোমার ক্ষমতা থাকে আমার বিরুদ্ধে মামলা করো। যাও। তোমার বুকের পাটা থাকে তো বলো, তোলাবাজের নাম অভিষেক ব্যানার্জি।’’

প্রসঙ্গত, শুভেন্দুই প্রথম এক জনসভা থেকে অভিষেকের নাম না করে ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’ স্লোগান দিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর সেই জনসভাতেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু। তার পর বহু সভায় অভিষেককে ‘তোলাবাজ’, ‘গরু চোর’, ‘কয়লা চোর’ বলেও আক্রমণ করেছেন কাঁথির বিজেপি নেতা। সোমবার নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করে ওই মন্তব্যের পর অভিষেককে বলতে শোনা যায়, ‘‘(নাম করে তোলাবাজ বললে) দশ দিনের মধ্যে যদি ল্যাজে-গোবরে করে হাই কোর্টে নিয়ে যেতে না পারি, তবে আমি এক বাপের ব্যাটা নই। বল। পারবি? ক্ষমতা আছে?’’ সোমবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল অভিষেকের বক্তৃতা।

বিজেপির আরও দুই নেতা দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারকেও বহু বার অভিষেক বিভিন্ন শব্দবন্ধ ব্যবহার করে আক্রমণ করেছেন। অভিষেকের মন্তব্য, ‘‘ভাববাচ্যে তো সবাই কথা বলে। ভাববাচ্যের ক্ষমতা কী? আমি নাম নিয়ে বলছি, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, নাম নিয়ে বলছি, সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারী গদ্দার। এরা চায় বাংলাকে ভাগ করতে। এরা চায় বাংলাকে অশান্ত করতে। তোমার ক্ষমতা থাকলে যাও আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে।’’

প্রসঙ্গত, এর আগেও বিরোধীদের নাম করে তাঁকে আক্রমণ করার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অভিষেক। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এ নিয়ে দু’পক্ষের তরজা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সোমবারের মতো তখনও বিরোধী নেতাদের তাঁর নাম করে আক্রমণ করতে বলেছিলেন অভিষেক। ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি খেজুরির সভা থেকে তাঁকে নাম করে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। বিজেপি নেতা তখন বলেছিলেন, ‘‘একটা তোলাশ্রী পুরস্কার হবে। সেটা পাবে ওঁর ভাইপো। তোলাবাজ অভিষেক ব্যানার্জী।’’

যদিও শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পরই তাঁকে আইনি নোটিস পাঠান অভিষেক। সেই নোটিসে বলা হয়েছিল, খেজুরির সভা ও একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি করেছেন শুভেন্দু। ‘তোলাবাজ ভাইপো’, ‘পাচারকারী’র মতো শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তাতে। নোটিসে এ-ও বলা হয়েছিল যে, ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, শুভেন্দুর আগে অভিষেককে একই ধরনের আক্রমণ করে আইনি নোটিস পেয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়ও। তখন তিনি বিজেপিতে থাকলেও এখন সেই বাবুলই অভিষেকের দলীয় সহকর্মী।

আরও পড়ুন
Advertisement