Women Policemen

মহিলা পুলিশদের কাজের পরিবেশ দেখতে কমিটি

পুলিশ সূত্রের খবর, ভবানী ভবনের জারি করা নির্দেশনামায় বলা হয়েছে রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারেটের (কলকাতা পুলিশ বাদে) নগরপালের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করা হবে।

Advertisement
শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৮
women policemen

—ফাইল চিত্র।

পর্যাপ্ত মহিলা শৌচাগার রয়েছে কি? রয়েছে পোশাক বদলানোর ঘর? বাড়িতে রেখে আসার ব্যবস্থা নেই বলে অনেকেই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কাজে আসেন। ওই শিশুদের জন্য কোনও ক্রেশের ব্যবস্থা কি করা যায়? জেলায় জেলায় থানা বা ইউনিটে মহিলা পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের নানা অসুবিধার কথা বার বার সামনে আসে। এ বার সে গুলি বিশদে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সমস্যাগুলি জানার জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ কমিটি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ভবানী ভবনের জারি করা নির্দেশনামায় বলা হয়েছে রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনারেটের (কলকাতা পুলিশ বাদে) নগরপালের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করা হবে। সদস্য হবেন প্রতি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ও কমিশনারেটের উপনগরপাল, একজন ডিএসপি, মহিলা থানার ওসি বা আইসি, একজন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল। যাঁদের মনোনীত করবেন জেলার পুলিশ সুপার।

এক পুলিশকর্তা জানান, ওই কমিটি প্রতিটি মহিলা থানা বা ইউনিটে পরির্দশনে যাবে। এক মাসের মধ্যে আইজি (সংগঠন)কে তাদের রিপোর্ট জমা দেবেন ওই কমিটির সদস্যেরা। কী কী বিষয় তাঁরা পরিদর্শনের সময়ে দেখবেন তার একটি তালিকাও ওই কমিটির সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। তা পূরণ করে জমা দিতে হবে ৩০ অগষ্টের মধ্যে।

ওই কমিটি কী কী বিষয় খতিয়ে দেখবে পরিদর্শনে?

সূত্রের খবর, থানা সহ প্রতিটি ইউনিটে মহিলা পুলিশকর্মী কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য পর্যাপ্ত মহিলা শৌচাগার আছে কিনা, মহিলাদের পোশাক বদলের ঘর রয়েছে কিনা তা দেখার পাশাপাশি মহিলাকর্মীদের থাকার বা বিশ্রামের জন্য পৃথক ব্যারাক রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।

অনেক জায়গাতেই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মহিলা পুলিশকর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়াররা ডিউটিতে আসেন। সেই শিশুদের জন্য ক্রেশ প্রয়োজন কিনা সেটিও দেখার কথা ওই কমিটির। এমনকি ক্রেশের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে কিনা সেটিও তাঁরা দেখবেন বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, স্থায়ী মহিলা পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি প্রত্যেক থানা বা ইউনিটে বহু মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারও রয়েছেন। সকলের সুবিধার্থে আগে থেকেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছিল। তা কার্যকর অবস্থায় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। প্রয়োজনে নতুন করে তা বসানোর সুপারিশ করা হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement