Calcutta High Court

পুলিশ আটক করার পরে তিনটি ঘোড়ার ‘রহস্যমৃত্যু’! অনেক ঘোরাঘুরির শেষে হাই কোর্টের দ্বারস্থ মালিক

সদকত ও তাঁর ভাই উত্তরপ্রদেশের একটি মেলা থেকে তিনটি ঘোড়া কিনেছিলেন। বিয়ে বাড়ি-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেগুলি ভাড়ায় দিতেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৯
তিনটি ঘোড়ার মৃত্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে।

তিনটি ঘোড়ার মৃত্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। —নিজস্ব চিত্র।

তিনটি ঘোড়ার মৃত্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি করেছেন ঘোড়াগুলির মালিক। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ ঘোড়াগুলির আটক করে একটি খামারে নিয়ে যায়। সেখানেই ঘোড়াগুলির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অথচ ১১ বছর ধরে ঘোড়াগুলি তাঁর কাছে থাকাকালীন সুস্থ‌ই ছিল। ঘোড়ার মৃত্যু নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএসে শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।

Advertisement

সদকত ও তাঁর ভাই উত্তরপ্রদেশের একটি মেলা থেকে তিনটি ঘোড়া কিনেছিলেন। বিয়ে বাড়ি-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেগুলি ভাড়ায় দিতেন তিনি। তেমনই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরপ্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটে আসেন তাঁরা। গত ২৭ জানুয়ারি বালুরঘাটে রাস্তার পাশে ঘোড়াগুলিকে দেখতে পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন পশুপ্রেমী ব্রতীন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, "ওই মালিক বেআইনি ভাবে ঘোড়াগুলির পায়ের 'খুর' কেটে বিক্রি করছেন। পশুপ্রেমী হিসাবে ওই বেআইনি পদক্ষেপ আটকাতে থানায় অভিযোগ করি। ওই মালিক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ঘোড়াগুলিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি খামারে রাখা হয়।"

গত ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পান ঘোড়ার মালিক। পুলিশ হেফাজত থেকে বেরিয়েই তিনি ঘোড়ার খোঁজ শুরু করেন। পরে তিনি জানতে পারেন, স্থানীয় এক খামারে ওই ঘোড়াগুলি রয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সংক্রামক রোগে একটি ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে। মালিকের বক্তব্য, ওই খামার কর্তৃপক্ষ ঘোড়াগুলিকে দেখতে পর্যন্ত দেননি। তাঁর অভিযোগ, আরেকটি ঘোড়াকে মেরে ফেলা হয়েছে। তৃতীয় ঘোড়ার খোঁজও পাওয়া যায়নি। নিজের ঘোড়াগুলির খোঁজ না পেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মালিক।

জনস্বার্থ মামলায় মালিকের দাবি, পরিবারের রুটি রুজি ছিল ওই তিনটি ঘোড়া। এত দিন তাঁর কাছে থাকা অবস্থায় সেগুলির মৃত্যু হয়নি। এখন ঘোড়াগুলির মৃত্যু নিয়ে খামার কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না। তাঁর দাবি, পশুপ্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য সরকার থেকে টাকা দেওয়া হয় খামার কর্তৃপক্ষকে। খামারের অবস্থা বলছে, তাঁরা সেই টাকার সদ্ব্যবহার করেননি। কারণ, ওই খামার প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। হাই কোর্টে তাঁর আবেদন, ঘোড়াগুলির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করা হোক। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক আদালত।

আরও পড়ুন
Advertisement