Bengal Recruitment Case

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যে এই প্রথম জেলে যেতে হল ‘টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া’ চার স্কুলশিক্ষককে

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। এই প্রথম টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চার প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল আদালত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ১৮:২২
4 primary teachers arrested as they allegedly got job by giving bribe

—প্রতীকী চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম বার গ্রেফতার হলেন টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। সোমবার আলিপুর নগর দায়রা আদালত এমন চার শিক্ষককে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘এঁদের জন্যই এত কিছু (সমস্যা)।’’

Advertisement

বস্তুত, নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক ‘প্রভাবশালী’। এই প্রথম বার টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারির নির্দেশ দিল আদালত। মাস খানেক আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওই চার শিক্ষককে সমন পাঠিয়েছিল আলিপুর নগর দায়রা আদালত। সিবিআইয়ের চার্জশিটে ওই চার জনের নাম ছিল। এঁদের নাম জহিরুদ্দিন শেখ, সাইগর হোসেন, সিমর হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল। এঁরা চার জনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।নবগ্রাম কুসুমকামিনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন জহিরুদ্দিন, সিঙ্গার পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন সাইগর, খোজারডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সিমার এবং মাধুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াতেন সৌগত। তদন্তকারীরা চার্জশিটে জানান, তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে এঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। সোমবার ওই চার জন আদালতে হাজির হন।

অভিযুক্তেরা হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আইনজীবীরা আগাম জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন এঁদের জামিন দেওয়া হবে? এঁদের জন্য এত কিছু।’’ বিচারকের সংযোজন, ‘‘সিবিআই তো ক্লিনচিট দিয়েই দিয়েছিল। আমি ডেকে এনেছি। পর্যাপ্ত মেটেরিয়ালের (তথ্যপ্রমাণের) ভিত্তিতে ওঁদের ডাকা হয়েছে।’’ তিনি ওই প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘‘আপনাদেরই বলতে হবে যে কেন আপনাদের জামিন দেওয়া হবে।’’ বিচারক এ-ও বলেন, ‘‘আপনাদের কাছে কেউ নিশ্চয়ই টাকা চাইতে যায়নি। আপনারা টাকা নিয়ে গিয়েছেন।’’

সওয়াল-জবাবে চার জনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ২১ অগস্ট পর্যন্ত তাঁদের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement