Shyamaprasad Mukherjee

Shyamaprasad Mukherjee: রামার লকারে কি শ্যামার সোনা? রাশি রাশি বাট-বিস্কুট আর গয়না দেখে চোখ কপালে পুলিশের

রামশঙ্করকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুপুরের ব্যাঙ্কে হানা দেন তদন্তকারীরা। লকার খুলতেই থরে থরে সোনার বাট, সোনার বিস্কুট, অলঙ্কার দেখা যায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:১৮
সোনা কার?

সোনা কার? প্রতীকী ছবি

বিষ্ণুপুর পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে বড় সাফল্য পেল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। মূল অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম সহযোগী রামশঙ্কর মোহান্তির নামে নেওয়া ব্যাঙ্কের লকারে মিলল প্রায় তিন কিলোগ্রাম সোনা। বিপুল পরিমাণ সোনা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদের বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ধৃত রামশঙ্কর।

বিষ্ণুপুর পুরসভায় টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদের বিপুল সম্পত্তির আঁচ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এর পরই শ্যামাপ্রসাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানতে সচেষ্ট হয় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রামশঙ্করকে জেরা করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের লকারের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। লকারটি রামশঙ্করের নামে ভাড়া নেওয়া হলেও, তাতে শ্যামাপ্রসাদের বিপুল পরিমাণ সোনাদানা রাখা রয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে রামশঙ্করকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুপুর শহরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দেন তদন্তকারীরা। লকার খুলতেই থরে থরে রাখা সোনার বাট, সোনার বিস্কুট-সহ সোনার অলঙ্কার দেখতে পান তদন্তকারীরা। বিশেষজ্ঞরা জানান, ওই লকারে রাখা সোনার পরিমাণ প্রায় তিন কিলোগ্রাম।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “লকার থেকে মোট ২,৯৫৪ গ্রাম সোনার সামগ্রী পেয়েছি। সমস্ত সোনা বাজেয়াপ্ত করে লকার সিল করে দেওয়া হয়েছে।’’

গত কয়েকদিনের তদন্তে শ্যামাপ্রসাদের নামে ও বেনামে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকার জমি ও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে থাকা কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এ বার বেনামে ব্যাঙ্কের লকারে থাকা প্রায় তিন কিলোগ্রাম সোনার হদিশ মেলায় শ্যামাপ্রসাদের আসল সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন
Advertisement