Canning

কাকার ১০ লক্ষ টাকা হাতাতে নিজের বাড়িতেই ডাকাতির ছক, ক্যানিংয়ে মা-মেয়ে, মায়ের সঙ্গী ধৃত

সোমবার সন্ধ্যায় ক্যানিং থানার পুলিশ একটি ডাকাতির অভিযোগ পায়। তারা জানতে পারে, ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় গ্রামের একটি বাড়িতে ভরসন্ধ্যায় ডাকাতি হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৬
ক্যানিংয়ের এই বাড়িতেই ডাকাতির অভিযোগ।

ক্যানিংয়ের এই বাড়িতেই ডাকাতির অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।

নিজের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিলেন এক তরুণী। প্রাথমিক ভাবে সফলও হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গেলেন ওই তরুণী। রাখি প্রামাণিক নামে ওই তরুণী, তাঁর মা সারথি প্রামাণিক এবং মায়ের সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছে। সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, কাকা বিমল প্রামাণিকের জমানো টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই নিজেদের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিলেন ওই তরুণী। সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর মা।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় ক্যানিং থানার পুলিশ একটি ডাকাতির অভিযোগ পায়। তারা জানতে পারে, ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় গ্রামের একটি বাড়িতে ভরসন্ধ্যায় ডাকাতি হয়েছে। বিমল প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চড়াও হয় তিন সদস্যের ডাকাতদল। রাখি দাবি করেন, তিনি বাড়িতে তখন একা ছিলেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তিনি জানান, হেলমেট পরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাড়িতে ঢুকেছিলেন তিন জন। তাঁর হাত-পা এবং মুখ বেঁধে রেখে লুটপাট চালায় ওই দলটি। ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ ১০ লক্ষ টাকা-সহ সোনার গয়না, মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেন তাঁরা। প্রতিবেশীরা রাখির গোঙানির শব্দ শুনে ছুটে আসেন। তার পর তাঁকে উদ্ধার করেন। এর পর তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। বিমল বলেন, ‘‘আমার সারা জীবনের সঞ্চয় লুট করে নিয়ে গেল।’’ খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে।

তার পরেই পুলিশের হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, নিজেদের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছেন রাখি, তাঁর মা সারথি এবং মায়ের বন্ধু বাপি মোল্লা। ভাঙড়ের মাছবাজার থেকে রাখি এবং তাঁর মাকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। সেখানে একটি দোকান থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা, ড্রিল মেশিন, ধারালো অস্ত্র, হাতুড়ি, দড়ি, গামছা, ওড়না, একটি মোবাইল ফোন এবং তিনটি মোবাইল ফোনের কভার উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, চুরির জন্য সে সব ব্যবহার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাকা বিমলের জমানো টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই নিজেদের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিল রাখি এবং তাঁর মা। বিমল সেলুনে চুল কাটার কাজ করেন।

ক্যানিংয়ের এসডিপিও রাম মণ্ডল বলেন, ‘‘সোমবার একটা ডাকাতির গল্প ফেঁদে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা এবং নানা জিনিসপত্র লুট হয়েছিল। তদন্তে নেমে লুট হওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মোট তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement