TMC

পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারপিট, ভাঙচুর! খড়দহ থানা ঘেরাও, গ্রেফতার তিন কর্মী

রবিবার রাতে রানা বিশ্বাস নামে তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধর করেন দলের আর এক গোষ্ঠীর লোকজন। সোমবার ‘দোষীদের’ গ্রেফতারির দাবিতে খড়দহ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ২০:০০
Panihati TMC Clash

পানিহাটি পুরসভা এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেল পার্ক এলাকায়। এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। এ নিয়ে নেতার অফিস ভাঙচুর থেকে খড়দহ থানা ঘেরাও, সোমবার দিনভর উত্তেজনা ওই এলাকায়।

Advertisement

অভিযোগ, রবিবার রাতে রানা বিশ্বাস নামে তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধর করেন দলের আর এক গোষ্ঠীর লোকজন। সোমবার ‘দোষীদের’ গ্রেফতারির দাবিতে খড়দহ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। সকালে এলাকার যুব তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের অফিসে ভাঙচুর চালায় ওই গোষ্ঠী। বুবাইয়ের অভিযোগ, দলের একাংশ তাঁকে কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি অফিস পর্যন্ত খুলতে পারছেন না।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ। সব মিলিয়ে সকাল থেকে চরম আকার নেয় তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীকোন্দল’! বিকেলের দিকে ওই গোষ্ঠীকোন্দল এবং সংঘর্ষের ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম শুভজিৎ শেঠ, সাহেব বিশ্বাস এবং শুভ দাস।

আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা শুধু অফিসে হামলাই চালাননি। যুব তৃণমূল নেতার অফিসে থাকা চেয়ার, টেবিল বাইরে ছুড়ে ফেলে ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে যুব তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ‘‘দলের একাংশ আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। নির্বাচনেও কাজ করতে দেয়নি। আমার অফিস খুলতেও বাধা দিচ্ছে।’’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় খড়দহ থানার পুলিশ। পালটা এলাকার তৃণমূল নেতা প্রবীর ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘দল করলেই অনৈতিক কাজ করা যায় না। এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছিল। তার পরই এই ঘটনা ঘটে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন