Baruipur

মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মার, এলোপাথাড়ি কোপ, বারুইপুরের হাসপাতালে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু! ধৃত ১২

স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় গাড়িচালক সইদুলকে শনিবার রাতে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন কয়েক জন। অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বারুইপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:০৬
murder case

—প্রতীকী চিত্র।

খেলার মাঠে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের মদারাট পঞ্চায়েতের বলবন এলাকায়। মৃত্যুতে জড়িয়েছে রাজনীতি। এলাকাবাসীর দাবি, মৃতের সইদুল আলি শেখ তৃণমূল কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক কারণ না কি ব্যক্তিগত শত্রুতায় তাঁকে খুন হতে হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় গাড়িচালক সইদুলকে শনিবার রাতে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন কয়েক জন। অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় সইদুলকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছিল বারুইপুর হাসপাতালে। চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তদন্তে নেমে পুলিশ ১২ জনকে পাকড়াও করেছে। যদিও খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সইদুলের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল এলাকার কয়েক জনের। তার জেরেও যুবককে খুন করা হতে পারে বলে করছেন কেউ কেউ। পরিবারের সদস্যের দাবি, সইদুলের সঙ্গে এলাকার কয়েক জনের শত্রুতা ছিল। তাঁরাও গাড়িচালকের উপর হামলা চালাতে পারেন।

অন্য দিকে, সইদুল এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরিতে সইদুলের বড় ভূমিকা ছিল। পঞ্চায়েত ভোটে সক্রিয় ভাবে শাসকদলের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। বিজেপি এবং সিপিএম হাত মিলিয়ে এলাকায় নির্দল প্রার্থী দিয়েও সুবিধা করতে পারেনি। সেই রাগেও তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম দাস। যদিও বিরোধীরা ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement