TMC

‘সেনাপতি ছাড়া যুদ্ধ জয় অসম্ভব’, তৃণমূল নেতার পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে যাঁরা অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, নিরুপম তাঁদের অন্যতম।

Advertisement
সীমান্ত মৈত্র  
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৯
TMC.

—প্রতীকী ছবি।

‘সেনাপতির’ পক্ষ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। ‘সেনাপতি ছাড়া যুদ্ধ জয় করা অসম্ভব’ বলে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি নিরুপম রায়। দলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ বিতর্কের এক পক্ষ নিচ্ছেন তিনি— মত রাজনৈতিক মহলের। মঙ্গলবারই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী তৃণমূলের প্রবীণদের ‘সফটওয়্যার আপডেট’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

Advertisement

নিরুপম ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের কর্মীরাও মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘এবি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) জিন্দাবাদ। কেউ লিখেছেন, ‘আমাদের একটাই সেনাপতি। তাঁর নাম দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)।

কী বলছেন নিরুপম?

তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি সেনাপতি ছাড়া কোনও যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। আমাদের দলে সেনাপতির নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ছাড়া যুদ্ধ জয় (লোকসভা ভোট) করা সম্ভব নয়।’’

তৃণমূলের সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে যাঁরা অভিষেকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, নিরুপম তাঁদের অন্যতম। নবীন-প্রবীণ বিতর্কের মধ্যেই গত মাসের শেষ দিক চাকলায় কর্মিসভায় এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে প্রবীণদের মর্যাদা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে।’’ কিন্তু তারপরেও বিতর্ক থামেনি। বরং তা আরও প্রবল হয়েছে।

নিরুপমের ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে গাইঘাটার প্রবীণ তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘প্রবীণদের অস্বীকার করা মানে পিতৃত্বকে অস্বীকার করা। বাবা বৃদ্ধ হলে কি তাঁকে আমরা অস্বীকার করব? প্রবীণেরা দল তৈরি করতে গিয়ে রক্ত ঝরিয়েছেন। তাঁদের ত্যাগ-তিতিক্ষার কি কোনও মূল্য নেই? অভিষেক দলের সেনাপতি, এটা আমরা কেউ অস্বীকার করি না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে প্রবীণদের অসম্মান করতে হবে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটাতে না পারলে লোকসভা ভোটে ভাল ফল হওয়া সম্ভব নয়।’’ প্রবীণ তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান, বছর উনসত্তরের শ্যামল রায় আবার বলেন, ‘‘আমি নিজেকে প্রবীণ মনে করি না। দলে নবীন-প্রবীণের যে বিতর্ক চলছে, সে বিষয়ে আমার বক্তব্য, প্রবীণদের অস্বীকার করে, তাঁদের বাদ দিয়ে দল চালানোর সিদ্ধান্ত যেন কোনও রাজনৈতিক দলের না হয়।’’ তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস আবার সাম্প্রতিক এই বিতর্কে ঢুকতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘‘নিরুপম কী পোস্ট করেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’

ফেসবুক এই পোস্টকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘পিসি-ভাইপোর নতুন নাটক চলছে। প্রবীণদের বাদ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টা হচ্ছে!’’

আরও পড়ুন
Advertisement