তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। — প্রতীকী চিত্র।
খাসজমি এবং মেছো ভেড়ি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে আহত হলেন উভয় পক্ষের পাঁচ জন তৃণমূল কর্মী। বুধবার ভোট দান পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হাড়োয়ার গোপালপুর অঞ্চলের আমতা খাঁটরা এলাকার জেলে পাড়ায়। এলাকা উত্তপ্ত থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খাস জমির মেছোভেড়ি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এ দিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পরই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। পুলিশ জানায়, জমি ও মেছো ভেড়ির দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকত। এ দিন উপনির্বাচন শেষে তা বড় আকার নেয়। জেলেপাড়া এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি শুরু হয়। বাঁশ, রড নিয়ে এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় তরুণ প্রামাণিক, রাকেশ মণ্ডল, সুকুমার মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হন। আহতদের হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তরুণের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তরুণের মাথায় বেশ কয়েকটা সেলাই হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের টহল। রাতেই এক গোষ্ঠী অপরগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা শফিক আহমেদ বলেন, ‘‘এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ভেড়ি মালিকদের মধ্যে ব্যবসায়িক বিষয়কে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল শুধু হাড়োয়া নয় রাজ্য জুড়ে লুট, সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পুলিশের কাছে অনুরোধ করব কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’ সিপিএম নেতা প্রদ্যুৎ রায় বলেন, ‘‘কে কত টাকা লুট করতে পারে, তাই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব। পুলিশ সবকিছু জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না।’’
বসিরহাট জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’