Madhuparna Thakur

‘জয় উপহার দিতে চাই দিদিকে’, মনোনয়ন জমা দিয়ে বললেন বাগদার তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা

লোকসভা ভোটে বাগদা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। ফলে উপনির্বাচনে লড়াই যে অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে, তা অজানা নয় রাজনীতির ময়দানে নবাগতা মধুপর্ণারও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ১৬:০৪
মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন মধুপর্ণা ঠাকুর।

মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। — নিজস্ব চিত্র।

বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির বধূ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। মাকে পাশে নিয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কার্যালয় থেকে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান মধুপর্ণা। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী-সহ জেলার তাবড় নেতারা। মনোনয়ন জমা দিয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মধুপর্ণার দাবি, বিপুল ব্যবধানে এই আসন জিতে ‘দিদি’কে উপহার দেবেন।

Advertisement

প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক মধুপর্ণা এখন এমএসসি পড়ছেন। বয়স সদ্য পেরিয়েছে ২৫। এই অবস্থায় প্রথম বার ভোটের লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে। তা নিয়ে অবশ্য মোটেও চিন্তিত নন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরের ছোট মেয়ে। মনোনয়ন জমা দিতে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘দিদিকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এই আসনটি জিতে দিদির কাছে উপহার হিসাবে তুলে দিতে চাই। মানুষকে ঠিকটা জানানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’’

লোকসভা ভোটে বাগদা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। ফলে উপনির্বাচনে ল়ড়াই যে অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে, তা অজানা নয় রাজনীতির ময়দানে নবাগতা মধুপর্ণার। যদিও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তিনি যে ব্যবধান নিয়ে চিন্তিত, তা বোঝা যায়নি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বেও ঘুরেফিরে এসেছে ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের ঠাকুর পরিবারের অন্তর্কলহের প্রসঙ্গ। মমতাবালা বলেন, ‘‘জীবনে বার বার এমন দিন আসে না। আমি ওর মা হয়ে ওকে যতটা ভালবাসি, ওর ঠাকুরমা হাজার গুণ বেশি ভালবাসত আমার বাচ্চাদের। কিন্তু এই বিশেষ দিনে তার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে পারল না মেয়েটা। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। মানুষ সবই দেখছেন।’’

সম্প্রতি মতুয়া ধর্ম মহামেলা চলাকালীন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তালা ভেঙে বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের ঘরের দখল নেন বলে অভিযোগ ওঠে। বীণাপাণির ঘরেই মমতাবালা, মধুপর্ণারা থাকতেন। তার পর লোকসভা ভোটের সময়ে মধুপর্ণা ওই ঘটনার প্রতিবাদে অনশন করেছিলেন। তখনই তিনি প্রচারের আলোয় উঠে আসেন।

এ দিন মধুপর্ণার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীরা। তাঁরা সমস্বরে মধুপর্ণার জয়ের নিশ্চয়তার দাবি করেন। কটাক্ষ করেন বিজেপিকে।

Advertisement
আরও পড়ুন