কেনাকাটা মন মতো হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবু পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। ক্যানিং। —নিজস্ব চিত্র।
বড়দিন মানেই রকমারি কেক। বাজারে এখন নানা স্বাদের কেকের সম্ভার। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনের কেক তৈরির জন্য চরম ব্যস্ততা থাকে বেকারিগুলিতে। এ বছর কেক ও কেকের উপাদানগুলির দাম এক ধাক্কায় বেড়েছে অনেকটাই। ক্রেতার ভিড় না কমলেও অনেকেই বড় কেক কিনতে গিয়ে দাম দেখে অপেক্ষাকৃত ছোট কেক কিনছেন।
অন্য বছরের মতোই সমস্ত বাজারে বড়দিনের নানা ধরনের কেকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। প্লাম কেক, ফ্রুট কেক, বাটার কেক, চকোলেট কেক, এগলেস কেক সহ নানা রকমের কেক রয়েছে সেই তালিকায়। বিক্রেতাদের দাবি, অন্তত গড়ে শতকরা ৩০ টাকা করে বেড়েছে সব কেকের দাম। যে ১ পাউন্ড কেকের দাম গত বছর ছিল ১০০ টাকা, তার দাম হয়েছে ১৩০ টাকা। ২০০ টাকার কেকের দাম ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা হয়েছে। ক্যানিং বাজারের কেক ব্যবসায়ী পঙ্কজ ভুঁইঞা বলেন, “এবারে কেকের দাম অনেকটাই বেশি। সে কারণে অনেক ক্রেতাই মুখ ঘোরাচ্ছেন। কেউ বা দামি কেকের পরিবর্তে কিছুটা কম দামি কেক কিনছেন। তাই কম দামি কেকের বিক্রি থাকলেও দামি কেকের বিক্রি অনেকটাই কম হচ্ছে।”
বাসন্তীর বাসিন্দা এক ক্রেতা মঙ্গলবার ক্যানিং বাজারে কেক কিনতে এসে বলেন, “প্রতি বছরই নিজের পরিবার ও আত্মীয়দের জন্য বেশ কিছু কেক কিনতে হয়। কিন্তু এ বার কেকের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে দেখছি গুণগত মানের সঙ্গেই সমঝোতা করতে হবে। এতটা দাম বেড়েছে ভাবতেই পারছি না।” আরেক ক্রেতা নিখিল সরকার বলেন, “দাম বাড়লে আর কী করব! একটা দিন সকলে মিলে আনন্দ করে কেক কাটি, খাই। দাম বাড়লেও উপায় নেই, এই উৎসবের আনন্দ বাদ দিতে পারব না।”
কলকাতার এক নামী বেকারির মালিক হাজি আবুল খয়ের বলেন, “শুধু মাত্র চিনির দাম বাড়েনি। কেক তৈরির বাকি সমস্ত উপাদান যেমন ময়দা, ডিম, তেল, মাখন, কাজু, কিশমিশ সব কিছুরই দাম বেড়েছে অত্যধিক পরিমাণে। তাই কেকের দাম না বাড়িয়ে উপায় ছিল না।”