Bullet Smuggling Racket

চাষির ছদ্মবেশে কার্তুজ পাচার, সীমান্তে হদিস মিলল চক্রের

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে জয়ন্তীপুরে কাঁটাতারের পাশে ওই কেএফ ৭.৬৫ মিমি কার্তুজগুলি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন জওয়ানেরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫৩
bullets

উদ্ধার হওয়া কার্তুজ। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

কাঁটাতারে আটকে ছিঁড়ে গিয়েছিল কার্তুজ ভর্তি পাচারকারীদের ব্যাগ। শনিবার ওই ঘটনায় দুই কার্তুজ পাচারকারীকে ধরেছিল বিএসএফ। তাদের জেরা করে পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় কার্তুজ পাচার চক্রের খোঁজ পেল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে আরও ৯৯টি কার্তুজ। গ্রেফতার হয়েছে আরও তিন পাচারকারী।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে জয়ন্তীপুরে কাঁটাতারের পাশে ওই কেএফ ৭.৬৫ মিমি কার্তুজগুলি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন জওয়ানেরা। সীমান্ত এলাকায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দু’জনের খোঁজ মেলে। ৪১টি কার্তুজ উদ্ধার হয়। গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল ও মহম্মদ নাজির হোসেন মোল্লাকে আটক করে পেট্রাপোল থানার হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

Advertisement

শনিবার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলে। বিচারক দু’জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ধৃতদের জেরার পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাতে পুলিশ ফের জয়ন্তীপুর এলাকায় কাঁটাতার সংলগ্ন জ়িরো পয়েন্ট এলাকায় যায়। উদ্ধার হয় আরও ৯৯টি কার্তুজ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ কার্তুজ পাচার চক্রের আরও তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম শাহজাহান সর্দার, জীবন কর ও তাপস খাঁ। বিচারক তাপসকে পুলিশি হেফাজতে এবং বাকি দু'জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

বিএসএফ ও পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় গিয়াসউদ্দিন জানায়, নাজিরের নির্দেশে সে চাষির ছদ্মবেশে বাংলাদেশ থেকে কার্তুজগুলি আনার চেষ্টা করছিল। বিএসএফকে বিভ্রান্ত করতে কাঁটাতারের কাছে গিয়ে ঘাস কাটার ভান করে। প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা কার্তুজ হাতবদলের সময়ে কাঁটাতারে আটকে ছিঁড়ে যায়। কার্তুজগুলি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। তখনকার মতো পালায় পাচারকারীরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি।

পুলিশের অনুমান, কার্তুজগুলি বিহার থেকে আনা হয়েছিল। মোট দেড়শোটি কার্তুজ ছিল। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ১৪০টি। বাকি ১০টির খোঁজ চলছে। বনগাঁর এসডিপিও অর্ক পাঁজা বলেন, "পাচারকারীরা অন্য কোথাও থেকে কার্তুজ নিয়ে এসে সীমান্তে জড়ো করেছিল। কী তাদের উদ্দেশ্য ছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement